মুন্সীগঞ্জের হাঁসাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করুণ দশা
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির জরাজীর্ণ ভবন ও জনবলের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ছে। মেডিকেল অফিসারের পদটি এক বছর যাবৎ শূন্য। ফার্মাসিস্ট পদও গত চারবছর থেকে শূন্য। এলএমএসএস পদটিও নয় মাস শূন্য রয়েছে।
একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে উপস্বাস্থ্যের চিকিৎসা সেবা। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগীর সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাকে। তিনিও বিশেষ কাজে অনেক সময় অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়াও উপজেলায় আরও দুটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। ভাগ্যকুল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শ্রীনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য ও জনবল না থাকায় কেন্দ্রগুলো থেকে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাঁসাড়া বাজারে অবস্থিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একতলা ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে ভবনের ছাদ ও দেয়াল চুঁইয়ে পানি কেন্দ্রের ভেতরে পড়ে। একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র আইচ একাই সামলান চিকিৎসা সেবা নিতে আসা প্রায় শতাধিক রোগী। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নেই কোনও কর্মী। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাব রয়েছে। নেই রোগীদের বসার স্থান।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর কাছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সার্বিক সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, প্রায় এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছি। মাঝে-মধ্যে সামান্য ওষুধ দিলেও প্রায় সময়ই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।
একজন ডাক্তার বসেন এখানে উল্লেখ করে তাদের অভিযোগ, মানহীন চিকিৎসা সেবায় কেউ খুশি নন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার গরীর মানুষ এখানে কম খরচের আশায় চিকিৎসা নিতে আসেন। জনবল না থাকায় বেহাল হয়ে পড়ছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। কেন্দ্রের জনবল ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টিও কামনা করেন তারা।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, “এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চারটি পদ থাকলেও শুধুমাত্র উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ছাড়া অপর তিনটি পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। ফলে চিকিৎসা সেবা কিছুটা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।”
“উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে” উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এছাড়া গত অর্থবছরে জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে এখানে নতুন একটি ভবন তৈরির জন্যও আবেদন করেছি। আবারও আবেদন করবো।”
Comments