বশেমুরবিপ্রবির ১৩ শিক্ষার্থীর শাস্তি
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও একজনকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- রাফিজুল ইসলাম, নূরউদ্দিন নাহিদ, আরিফুল ইসলাম সাকিব, মো. মাজহারুল ইসলাম মিশন ও রাহাত আল আহসান। এছাড়াও, দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী হলেন- ইসমাইল শেখ।
ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে শহরের গোবড়া মসজিদের সামনে, বালুরমাঠ, সোবহান সড়ক এবং সোনাকুড় এলাকায় তৎকালীন উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন সমর্থিত দুর্বৃত্তদের হামলায় আন্দোলনরত ৩০ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিন সাংবাদিক আহত হন।
গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ভর্তি প্রতারক চক্রের কয়েকজন সদস্যকে আটক করে। ওই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সাত শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এরা হলেন- হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বাবু শিকদার বাবু, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. নয়ন খান, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামুল ইসলাম, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অমিত গাইন, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মানিক মজুমদার, পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি খান ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনিমুল হক।
Comments