এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন শাহাদাত!
তিন বছর এখনও পার হয়নি। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পেসার শাদাহাত হোসেন। পরে নিজেকে শুধরে নেবেন বলে অঙ্গীকার করে আবার ফিরেছিলেন ক্রিকেটে। কিন্তু সে অর্থে নিজেকে শোধরাতে পারেননি। এবার জাতীয় লিগে নিজ দলের সতীর্থকে পিটিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন শাহাদাত। আর কারণে তাকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জাতীয় লিগের ম্যাচে সোমবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার হয়ে খেলার সময়ে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে বল শাইন করে দিতে বলেছিলেন শাহাদাত। কিন্তু অনীহা প্রকাশ করেন সানি। তাই মধ্যাহ্ন বিরতিতে সানিকে চড় ও লাথি মারেন শাহাদাত। পরে বাকী সতীর্থরা এলে বিষয়টি আর বাড়তে দেননি।
আর শাহাদাতের এমন কাণ্ডে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘খুলনা থেকে শাহাদাতকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের ৪ মাত্রা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধারায় যে কেউ সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ থাকে। একই সঙ্গে জরিমানা ৫০ হাজার টাকা। এখন রিপোর্ট বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চলমান জাতীয় লিগে সে খেলতে পারছে না।’
ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদও এ ঘটনা উল্লেখ করে এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন বিসিবিতে, ‘শাহাদাত যা করেছে এর জন্য ম্যাচ রেফারি তো আর শাস্তি দিতে পারে না। এটা ৪ মাত্রার অপরাধ। বড় ধরনের অপরাধ। সে তার সতীর্থকে লাথিও মেরেছে। রিপোর্ট বিসিবির কাছে পাঠানো হয়েছে। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে তাকে কি শাস্তি দেওয়া যায়।’
শাহাদাত নিজেও স্বীকার করেছেন ঘটনার কথা। মেজাজ হারিয়ে ফেলাতেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে স্বীকার করেন তিনি, ‘চলমান জাতীয় লিগে আমি আর খেলছি না। কারণ আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। এটা সত্যি আমি নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। তবে সানি আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। যখন বল শাইন করতে বলেছি বাজেভাবে সে উত্তর দিয়েছে, যা আমার পক্ষে হজম করা কঠিন ছিল।’
Comments