৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ শাহাদাত
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচে সতীর্থকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শাহাদাত হোসেনকে। আচরণবিধির গুরুতর লঙ্ঘনের দায়ে জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলা এই ডানহাতি পেসারকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাশাপাশি তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
চলমান জাতীয় লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে, গেল রবিবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে স্বাগতিক খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার হয়ে খেলার সময় সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে বল শাইন (ঘষে উজ্জ্বলতা বাড়ানো) করে দিতে বলেছিলেন শাহাদাত। কিন্তু অনীহা প্রকাশ করেন সানি। বেঁধে যায় তর্ক-বিতর্ক। এরপর হঠাৎ করে সানিকে চড় ও লাথি মারতে শুরু করেন শাহাদাত। এরপর বাকি সতীর্থরা এগিয়ে গিয়ে একরকম জোর করে মাঠের বাইরে নিয়ে যান শাহাদাতকে।
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ আইন অনুসারে, ম্যাচের শেষ দুই দিনের জন্য বহিষ্কার করেন শাহাদাতকে। তবে খেলা চলাকালীন সতীর্থ বা অন্য কারো গায়ে হাত তোলা আচরণবিধির লেভেল ৪ ভঙ্গ করার অপরাধ। তাই ৩৩ বছর বয়সী বোলারের জন্য অপেক্ষা করছিল কঠিন শাস্তি। এদিন টেকনিক্যাল কমিটির সভায় তাকে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
তিন বছর আগে বাসার শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শাহাদাত। তাকে যেতে হয়েছিল জেলেও। পরে নিজেকে শুধরে নেবেন বলে অঙ্গীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে তাকে ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ দিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু সতীর্থকে মারধর করে ফের নিষিদ্ধ হয়ে তার ক্যারিয়ারই শেষ হওয়ার পথে।
২০০৫ সালে অভিষেকের পর বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৮ টেস্ট, ৫১ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শাহাদাত। জাতীয় দলের হয়ে তিনি সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৫ সালের মে মাসে।
Comments