গোলাপি বল চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে আম্পায়ারদেরও: টাফেল

দিবা-রাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে খেলতে সমস্যায় পড়তে হয় ব্যাটসম্যানদের। কারণ ফ্লাডলাইটের আলোতে এই বলে খেলার অভ্যস্ততা এখনও তাদের তৈরি হয়নি সেভাবে। তবে কেবল ব্যাটারদের নয়, গোলাপি বলে আম্পায়ারদেরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে উল্লেখ করেছেন সাইমন টাফেল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে এক দিন পরই শুরু হতে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টের আগে এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক এই তারকা আম্পায়ার।
simon taufel
ছবি: এএফপি

দিবা-রাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে খেলতে সমস্যায় পড়তে হয় ব্যাটসম্যানদের। কারণ ফ্লাডলাইটের আলোতে এই বলে খেলার অভ্যস্ততা এখনও তাদের তৈরি হয়নি সেভাবে। তবে কেবল ব্যাটারদের নয়, গোলাপি বলে আম্পায়ারদেরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে উল্লেখ করেছেন সাইমন টাফেল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে এক দিন পরই শুরু হতে যাওয়া ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টের আগে এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক এই তারকা আম্পায়ার।

২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে আইসিসির আম্পায়ার পারফরম্যান্স ও প্রশিক্ষণ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন টাফেল। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভারতীয় সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গোধূলির সময়ে গোলাপি বল দেখা ব্যাটসম্যানদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি আম্পায়ারদের জন্যও। ভালোভাবে বল দেখতে পাওয়ার জন্য তাদেরকে কৃত্রিম লেন্স ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আম্পায়ারদের জন্য অনুশীলন সেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক টাফেল বলেছেন, ‘আমি জানি না, বলকে আলাদাভাবে দেখার জন্য তারা কোনো বিশেষ লেন্স ব্যবহার করবে কিনা। এটা পুরোপুরি তাদের ব্যাপার। তাদের উচিত নেটে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সময় যত বেশি সম্ভব উপস্থিত থাকা।’

টাফেল বর্তমানে ভারতে আছেন নিজের বই ‘ফাইন্ডিং দ্য গ্যাপস’- এর প্রচারণার কাজে। ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট চলার সময় তার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তিনি যোগ করেছেন, ‘গোধূলিতে আলোর পরিবর্তন হয়। উজ্জ্বল সূর্যের আলো থেকে কৃত্রিম আলোয় খেলা শুরু হয়। এই সময় গোলাপি বলে খেলা ব্যাটসম্যানদের জন্য একটি পরীক্ষা। আম্পায়ারদের ক্ষেত্রেও এই একই চ্যালেঞ্জ থাকে। আম্পায়ারদের জন্য এটা বেশ কঠিন।’

ভারতে একটি ঘরোয়া আসর হয়ে থাকে গোলাপি বলে। দলটির টেস্ট স্কোয়াডের ১০ জনের আছে সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা। বিপরীতে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত কেবল একটি ম্যাচ হয়েছে দিবা-রাত্রির। ২০১৩ সালের বিসিএলের সেই ফাইনাল ম্যাচের কোনো খেলোয়াড়ই নেই ভারত সফরের দলে। এ প্রসঙ্গে টাফেল বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাংলাদেশ গোলাপি বলে কখনও প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে কিনা। তবে বাংলাদেশের জন্য কাজটা নিঃসন্দেহে বেশি কঠিন।’

Comments

The Daily Star  | English
EC turns a blind eye to polls code violations

Nomination submission deadline won’t be extended: EC

The deadline for the submission of nomination papers ended at 4:00pm today

27m ago