রোমাঞ্চকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/pakistan_13.jpg?itok=PbJa731V×tamp=1574249182)
এক সময় মনে হয়েছিল ম্যাচটা বুঝি হেসে খেলেই জিতে নিবে ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ দল। লক্ষ্য তাড়ায় অর্ধেকের বেশি রান তারা করে ফেলেছিল ১ উইকেট হারিয়েই। কিন্তু সেখান থেকে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দল। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় পায় তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ৩ রানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকেট কাটে দলটি।
এদিন শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। উইকেট ছিল তিনটি। তখনও কাজটা খুব কঠিন ছিল না। কারণ সেট ব্যাটসম্যান চিন্ময় সুতার ছিলেন উইকেটে। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারেননি এ ব্যাটসম্যান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ননস্ট্রাইক প্রান্তে চলে যান তিনি। দ্বিতীয় বলে গ্যালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান শিভাম মাভি। পরের বল ডট। এরপর সিঙ্গেল পেলে ফের স্ট্রাইকে আসেন চিন্ময়। কিন্তু এক রানের বেশি পাননি। শেষ বলে তাই জিততে দরকার ছিল ৫ রানের। কিন্তু এবারও সিঙ্গেল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।
অথচ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করে ভারত। অধিনায়ক বেলুর রবি শরথ ও আরিয়ান জুয়েলের ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৩ রান। এরপর জুয়েল আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে সানবির সিংয়ের সঙ্গে আরও ৪৩ রানের জুটি গড়েন শরথ। তবে তৃতীয় উইকেটে আরমান জাফরের সঙ্গে জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া এক জুটি গড়েন সানবির। স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
কিন্তু সানবিরের রানআউটে বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি। যদিও ইয়াশ রাঠোরকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরমান। দলীয় ২১১ রানে এ দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে চাপে পরে যায় দলটি। শেষ দিকে দুবেকে নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন চিন্ময়। কিন্তু রোমাঞ্চ ছড়ালেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন সানবির। ৯০ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। আরমান ৪৮ ও শরথ খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফ বদর ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল পাকিস্তান। ওমাইর ইউসুফ ও হায়দার আলির ওপেনিং জুটিতে আসে ৯০ রান। এরপর হায়দার আউট হলে অধিনায়ক রোহাইল নাজিরকে নিয়ে ৪৮ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ইউসুফ। উইকেট থাকলেও রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেনি দলটি। পঞ্চম উইকেটে সাইফ বদরের সঙ্গে ইমরান রফিক ৫১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন। ফলে নির্ধারিত ৫০ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ইউসুফ। ৯৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন বদর। হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ভারতের পক্ষে ২টি করে উইকেট পান শিভাম মাভি, সৌরভ দুবে ও ঋত্বিক শোখেন।
Comments