সামর্থ্য নয়, প্রয়োগে ঘাটতি দেখছেন হাবিবুল
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে গোলাপি বলের টেস্টে মানুষজন নড়েচড়ে বসার আগেই যেন বাংলাদেশ তাসের ঘর। ভারতীয় তিন পেসারের গোলায় চোখের পলকেই টপ অর্ডার ছিন্ন-ভিন্ন। ৩৮ রানেই পড়ে যায় ৫ উইকেট। দলের এমন টালমাটাল অবস্থায় সামর্থ্য নয়, প্রয়োগে ঘাটতি দেখছেন দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার। ইন্দোরের মতো এবারও মুশফিকের চারে না নামা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
ইডেনে ঐতিহাসিক এই টেস্ট উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই এসেছেন হাবিবুল। ২০০০ সালে দেশের অভিষেক টেস্টের একাদশে ছিলেন তিনি, সাদা পোশাকে করেছেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ফিফটি। হাবিবুলসহ সেই টেস্টের বাংলাদেশের একাদশের নয়জন এসেছেন সৌরভ গাঙ্গুলির আমন্ত্রণে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে খেলা শুরুর আগে নানান আয়োজন হয়েছে। তাতে অংশ নিয়ে অতিথিরা ঠিকমতো বসতেই পারেননি, তার আগেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ইনিংস।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ছয় ওভার পার করার পর নামে ধস। শুরুতে ফেরেন ইমরুল কায়েস। এরপর মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন আর মুশফিকুর রহিম ফেরেন কোনো রান না করেই। ইমরুল হয়েছেন এলবিডব্লিও। মুমিনুল মুভমেন্টে ভড়কে ক্যাচ দেন স্লিপে। মিঠুন আর মুশফিক গতিতে পরাস্ত হয়ে সময়মতো নামাতে পারেননি ব্যাট।
ব্যাটসম্যানদের এই হাল কেন? টেকনিক নাকি সামর্থ্যের ঘাটতি? প্রাসঙ্গিকভাবেই প্রশ্ন গেল নির্বাচক হাবিবুলের কাছে। বাংলাদেশের অন্যতম নির্বাচকের মতে সবটাই প্রয়োগের, ‘প্রথম যে চারজন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে, তাদের সবারই কিন্তু বড় বড় ইনিংস আছে। সামর্থ্যের অভাব আমি বলব না। বলব প্রয়োগের অভাব। দেখুন, আমার মনে হয়, মোহাম্মদ মিঠুন বা মুশফিকের আউটটা, তাদের আরেকটু দ্রুত রিফ্লেক্স করার দরকার ছিল। বল কিন্তু একদম না খেলার মতো না।’
ইন্দোরে পাঁচে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। প্রশ্ন উঠেছিল তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। কলকাতাতেও বদলায়নি তার ব্যাটিং অর্ডার। কেন দলের সেরা ব্যাটসম্যানের আগে নামানো হচ্ছে মিঠুনকে? হাবিবুল ইঙ্গিত দিলেন, ব্যাটিং পজিশন হয়তো মুশফিক নিজেই বেছে নিয়েছেন, ‘মুশফিকের পাঁচে নামা, এটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। হয়তো তাকে পছন্দ বেছে নিতে দেওয়া হয়েছিল, তিনি পাঁচে নামতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন।’
‘গত কয়েকটা টেস্ট থেকে ব্যাটসম্যানরা খারাপ করছেন। কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরাও। দেখা যাক।’
Comments