লিটনের ‘কনকাশন’ বদলি মিরাজ

কলকাতা টেস্টের বাংলাদেশ একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু লিটন দাস মাথায় আঘাত পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় তার ‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলতে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
Miraz
ফাইল ছবি

কলকাতা টেস্টের বাংলাদেশ একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু লিটন দাস মাথায় আঘাত পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় তার ‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলতে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

প্রথম সেশনের শেষ বলে মাঠ ছাড়ার আগে লিটন খেলছিলেন বেশ ভালো। অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে খাবি খাচ্ছিলেন ভারতীয় পেসারদের বিপক্ষে, সেখানে তিনি দারুণ কিছু শট উপহার দেন। তার ২৭ বলে ২৪ রানের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে মোহাম্মদ শামি মেরেছিলেন দুরন্ত এক বাউন্সার। লিটন মাথা সরাতে না পারায় হন আঘাতপ্রাপ্ত। মাঠেই চলে তার চিকিৎসা। উঠেও দাঁড়ান তিনি। ঠিক পরের বলে শামি দেন আরেক বাউন্সার। এবার লিটন পুল করে পার করেন সীমানা।

পরের ওভারের প্রথম বলে ইশান্ত শর্মাকেও বাউন্ডারি মারেন লিটন। কিন্তু এর পরপরই অস্বস্তি বোধ করায় তাকে মাঠ তুলে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এরপর জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাত পাওয়া লিটনের আর ইডেন টেস্টে খেলা হচ্ছে না। ফলে তার জায়গায় ব্যাট হাতে উইকেটে গিয়েছেন মিরাজ।

বদলি হিসেবে খেলতে নেমে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ইবাদত হোসেন আউট হওয়ার পর ২২ গজে নেমে পড়া এই ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ‘কনকাশন’ বদলি খেলোয়াড় নজির গড়েন।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্য দিয়ে বদলি খেলোয়াড়ের নতুন এই নিয়ম চালু করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। নিয়ম অনুযায়ী, মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের পরিস্থিতি বিচার করে ম্যাচ রেফারি ব্যাটিং বা বোলিংয়ের জন্য বিকল্প খেলোয়াড়কে নামার অনুমতি দিয়ে থাকেন।

আঘাতপ্রাপ্ত খেলোয়াড় যে ধরনের হন, বদলি নামাতে হয় সে ধরনেরই। অর্থাৎ কোনো ব্যাটসম্যানের বিকল্প হিসেবে নামতে পারেন আরেক ব্যাটসম্যান, বোলারের পরিবর্তে বোলার। তাই মিরাজকে খেলতে হবে স্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago