১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস

৭, ২ ও ৪। সংখ্যাগুলো টানা তিন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের খেলা বলের সংখ্যা। রানের খাতা এদের কেউই খুলতে পারেননি। আর মিডল অর্ডারের অবস্থা যখন এমন, সেখানে বাকী সবার অবস্থাও তথৈবচ। কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ইডেন গার্ডেনসে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রি টেস্টে টাইগারদের অবস্থা তাই বিবর্ণই। শেষ দিকে নাঈম হাসান ব্যাটসম্যান বনে না গেলে একশ রানও করতে পারতো না টাইগাররা। ১০৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
ছবি: এএফপি

৭, ২ ও ৪। সংখ্যাগুলো টানা তিন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের খেলা বলের সংখ্যা। রানের খাতা এদের কেউই খুলতে পারেননি। আর মিডল অর্ডারের অবস্থা যখন এমন, সেখানে বাকী সবার অবস্থাও তথৈবচ। কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি।  ইডেন গার্ডেনসে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রি টেস্টে টাইগারদের অবস্থা তাই বিবর্ণই। শেষ দিকে নাঈম হাসান ব্যাটসম্যান বনে না গেলে একশ রানও করতে পারতো না টাইগাররা। ১০৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

অবশ্য বাংলাদেশ ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতেই পারে। কারণ বোলাররা একটু দ্রুত বল করলে এক সেশনে প্রায়ই ৩০ ওভারের বেশি বল হয়ে থাকে। এদিন একাধিকবার ব্যাটসম্যানরা ইনজুরি পড়াসহ নানা কারণে ম্যাচটি দুই সেশনে গড়িয়েছে। অন্যথায় এক সেশনে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা পেতে পারতো তারা।

গোলাপি বল নিয়ে নানা ধরণের কথা শুরু থেকেই আসছিল। এর আগে কখনো এ বলে না খেলায় কিছুটা ভীতি হয়তো কাজ করছিল টাইগারদের। ম্যাচেও তা বোঝা গিয়েছে স্পষ্ট। টাইগারদের দুর্বলতায় যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ভারতীয় বোলাররা। বিশেষ করে ইশান্ত শর্মা। বিকেলের বাতাসকে কাজে লাগিয়ে দারুণ সুইং আদায় করে নেন তিনি। একাই তুলে নেন ৫ উইকেট।বাকিটা ভাগভাগি করেন উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ শামি। তাতেই কাবু বাংলাদেশ। মাত্র ৩০.৩ ওভার টিকতে পেরেছে তারা।

এদিন শুরু থেকেই ভুগেছে টাইগাররা। যদিও প্রথম কয়েকটা ওভারে ভারতীয় বোলাররাও বুঝতে পারেননি এর প্রকৃতি। তাই বাড়তি বাউন্স আদায় করার তেমন তাগিদ ছিল না। কিন্তু বদলী বোলার হিসেবে বল করতে এসে শুরু থেকেই আলগা বাউন্স আদায় করে নিতে থাকেন মোহাম্মদ শামি। তাতে আরও বড় ঝামেলায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় কিছুটা সাবলীল ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু দুই দুইবার মাথায় আঘাত লাগায় তিনি আর ব্যাট করতে পারেননি। ফলে টাইগারদের বিপর্যয় আরও বাড়ে।

তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা নিয়েও। একে তো বাউন্সি বলে টাইগাররা দুর্বল, তার উপর আবার গোলাপি বলে খেলা। সাধারণ বলের তুলনায় একটু বেশিই বাউন্স করে এ বল। কিন্তু তারপরও ‘কনকাশন’ বদলির কথা চিন্তা করেনি বাংলাদশের টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ মাথায় আঘাত লাগলে ব্যাটসম্যান যে ধরণের হন বলদি খেলোয়াড়কেও সে ধরণের হতে হয়। কিন্তু দলে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাটসম্যানই ছিলেন না। তাই লিটন কুমার দাস মাথায় আঘাত লেগে খেলতে না পারায় বাধ্য হয়ে তাই মেহেদী হাসান মিরাজকেও নামায় বাংলাদেশ। তার অবদান ৮ রান।

সাইফ হাসানের ইনজুরিতে আরও একবার সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়সের বিদায় দিয়ে টাইগারদের বিপর্যয়ের শুরু। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। তাতে অবশ্য কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছিলেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু উমেশ যাদবের বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। দলের সর্বোচ্চ স্কোরটিও তার। ১২ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে মাত্র মাত্র তিন জন পৌঁছাতে পেরেছেন তিন অঙ্কের কোটায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৬ (সাদমান ২৯, ইমরুল ৪, মুমিনুল ০, মিঠুন ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৬, লিটন আহত অবসর ২৪, নাঈম ১৯, ইবাদত ১, মিরাজ (কনকাশন) ৮, আল-আমিন ১, রাহী ০; ইশান্ত ৫/২২, যাদব ৩/২৯, শামি ২/৩৬, জাদেজা ০/৫)।

Comments

The Daily Star  | English
Metro now connects Uttara with Motijheel

Uttara-Motijheel Metro: 8am-8pm service not before April

Commuters may have to wait until July for service until midnight on the entire Uttara-Motijheel section, hints Metro rail authorities

5h ago