পুজারাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ইবাদত
দলীয় ৪৩ রানে দুই ওপেনারকে ফেরাতে পেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে দারুণ জুটিতে বাংলাদেশের ভোগান্তি বাড়াচ্ছিলেন চেতশ্বর পুজারা। এরমধ্যে লিডও নিয়েছে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত এ জুটি ভাঙতে পেরেছে টাইগাররা। পুজারাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভেঙেছেন ইবাদত হোসেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৪ রান।
অবশ্য স্লিপে দারুণ ক্যাচ ধরেছেন সাদমান ইসলাম। ইবাদতের বলে রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন পুজারা। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। শুরু থেকেই বেশ সাবলীল ব্যাট করতে থাকা পুজারা আগেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। ১০৫ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫৫ রান করে এ ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক কোহলি অবশ্য ভারতের লিড বড় করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরমধ্যে তিনিও তুলে নিয়েছেন নিজের ফিফটি।
এর আগে চা বিরতির পরই রোহিত শর্মাকেও ফেরান ইবাদত। তার বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন রোহিত। যদিও চা বিরতির আগেই তাকে ফেরাত পারতো টাইগাররা। আবু জায়েদ রাহীর বলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রোহিত। সে ক্যাচ মিস করেছেন আল-আমিন হোসেন।
তবে ভারতীয় শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন আল-আমিনই। স্লিপে অবশ্য দারুণ ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথন কনকাশন বদলী খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ লুফে নেন। ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট হন মায়াঙ্ক।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১২ জন ব্যাট করলেও দলের মাত্র তিন জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারে। মিডল অর্ডারের মূল তিন ব্যাটসম্যান তো শূন্য রানেই বিদায় হন। সর্বোচ্চ ২৯ রানের স্কোর আসে ওপেনার সাদমানের ব্যাট থেকে। তবে দলীয় স্কোরটি হয়তো একশ রানের আগেই গুটিয়ে যেতে পারতো। শেষ দিকে নাঈম হাসানের ১৯ রানে শতরানের কোটা পার করে বাংলাদেশ।
ব্যাটসম্যানদের নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের দিনে অবশ্য কিছুটা সাবলীল ছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে দুইবার মাথায় আঘাত লাগলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তার জায়গায় ব্যাট করতে নেমে মিরাজ করেন মাত্র ৮ রান। শুধু লিটনই নন, মাথায় আঘাত লাগায় নাঈম হাসানের কনকাশন বদলী নামাতে হয় টাইগারদের। তার জায়গায় খেলতে নেমেছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
Comments