গোলাপি বলে প্রস্তুতি ম্যাচের অভাব অনুভব করছেন ডমিঙ্গো
সিরিজের দুই টেস্টের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র তিন দিনের। ইন্দোরে আগে-ভাগে হেরে যাওয়ায় গোলাপি বলে প্রস্তুতির জন্য বাড়তি আরও দুটি দিন পেয়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলতে নামার জন্য তা কি যথেষ্ট ছিল মুমিনুল হকের দলের জন্য?
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত স্রেফ একটি ম্যাচ হয়েছে দিবা-রাত্রির। গোলাপি বলে হওয়া ২০১৩ সালের বিসিএলের সেই ফাইনাল ম্যাচের কোনো খেলোয়াড় নেই ভারত সফরের স্কোয়াডে। আরেকটি চমকপ্রদ বিষয় হলো যে দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এবারই প্রথম দেখেছেন গোলাপি বল! অথচ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ভারতের মাটিতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফরে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইডেন টেস্টের উদ্বোধনী দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এরপর দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৩ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে ভারত এরই মধ্যে এগিয়ে গেছে ৬৮ রানে।
বিবর্ণ দিনের শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, মূল লড়াইয়ের আগে গোলাপি বলে অন্তত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে তা কাজে লাগত তার শিষ্যদের। তবে না খেলার বিষয়টিকে কোনো অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতেও আবার রাজি নন তিনি।
‘আমরা অনুরোধ করেছিলাম (একটি প্রস্তুতি ম্যাচের)। কিন্তু বর্তমান সূচীতে সময় একেবারেই কম। উভয় দলের জন্য এটা একই। আমরা চার দিন অনুশীলন করেছি, কিন্তু একটি প্রস্তুতি ম্যাচ অনেক সাহায্য করতে পারত। ছেলেরা গোলাপি বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরও সময় পেত। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত নয়।’
ডমিঙ্গোর মতে, গোলাপি বল নয়, মূল পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে দুদলের সামর্থ্য, শক্তি আর অভিজ্ঞতা। দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে নিজেদের পিছিয়ে থাকার কথাও অকপটে স্বীকার করে নেন তিনি।
‘আমি বলব না যে গোলাপি বলের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম না। ভারতও অনুশীলনের জন্যই একই পরিমাণ সময় পেয়েছে। প্রস্তুতি ছয় বা সাত দিনের যাই হোক না কেন, দুই দলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আমরা টেস্টে অনেক পিছিয়ে। বিরাট কোহলির একার ২৬টা টেস্ট সেঞ্চুরি আছে, আর আমাদের পুরো দল মিলিয়ে ১৬টা বা ১৭টা (মূলত ২১টা)। এটা স্বীকার করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
Comments