গ্রামীণফোনকে ৩ মাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ

গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা আগামী তিনমাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
btrc_grameenphone_logo-1_0.jpg
ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা আগামী তিনমাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

আজ (২৪ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গ্রামীণফোনের আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গ্রামীণফোন যদি তিনমাসের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তবে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল হয়ে যাবে।

বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব জানিয়েছেন, আজকের আদেশের ফলে গ্রামীণফোনকে আপাতত ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে। তবে তিনমাসের মধ্যে এই অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী না, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলেই তা জানা যাবে।

গ্রামীণফোন যতো দ্রুত এই টাকা পরিশোধ করবে, ততোই তারা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিটিআরসির এই আইনজীবী।

গত ১৪ নভেম্বর বিটিআরসির পাওনা দাবির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধে রাজি হয় গ্রামীণফোন। সেসময় বিটিআরসির একজন আইনজীবী আদালতকে জানান যে, গ্রামীণফোনকে এখনই পুরো পাওনার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে।

এর আগে, গত ২ এপ্রিল প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি (বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ও এনবিআরের ৪ হাজার ৮৬ কোটি) টাকা পাওনা দাবি করে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই পাওনা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে ও পাওনা দাবির অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চায়।

গত ২৮ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর বিরুদ্ধে গ্রামীণফোনের পক্ষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।

এর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং ওই অর্থ আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago