রাজনীতিবিদ হওয়ার ভাবনা ছিল না কখনই: মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা তার কখনই ছিল না কিন্তু এখন জনগণের সেবা করার জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
আজ সকালে ভারতের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত ‘মন কি বাত’ (মনের কথা) অনুষ্ঠানে ভারতের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির নিজের উপস্থাপনায় এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
এদিন মোদি বলেন, “রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আমার কখনই ছিল না। কিন্তু এখন যখন এর অংশ হয়েই গেছি তখন জনগণের জন্য কাজ করতে আমার সামর্থের সর্বোচ্চটা করে চলেছি।”
নিজের কৈশোর জীবনের কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, স্কুলে পড়ার সময় তিনিও ক্যাডেট কোরের সদস্য ছিলেন। তবে সেখানে কখনই শাস্তি পেতে হয়নি তাকে। আর পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার কথা প্রসঙ্গে বলেন, গুগলের সবকিছুর ‘শর্টকাট’ এনে দিয়েছে তাই রেফারেন্সের জন্য আর বই ঘাটতে হয় না।
মোদির কাছে একজন ক্যাডেটের প্রশ্ন ছিল, রাজনীতিতে না এলে কী করতেন?
মোদির তাৎক্ষণিক উত্তর ছিল, কঠিন প্রশ্ন। “খুব কঠিন প্রশ্ন হয়ে গেল। কারণ শৈশবে সবাই বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। কখনও মানুষ এটা হতে চায়, ওটা হতে চায়। কিন্তু এটা সত্য যে আমি কখনই রাজনীতিতে আসতে চাইনি। এটা নিয়ে কখনো ভাবিইনি। এখন রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের কল্যাণে কিভাবে কাজ করা যায় সেই চিন্তাতেই মগ্ন থাকি।”
“কিন্তু রাজনীতি না করলে কী করতাম সেই কথা কখনই ভাবে দেখিনি,” যোগ করেন মোদি।
তিনি বলেন, “এখন জীবন যেখানেই আমাকে নিয়ে যাক, ভরপুরভাবে বাঁচতে চাই আর দেশের জন্য পুরোদমে কাজ করতে চাই… এই পথেই আমার জীবন উৎসর্গ করেছি।”
টেলিভিশন দেখা বা বই পড়ার মতো সময় বের করতে পারেন কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পড়ার ভক্ত তিনি সব সময়ই ছিলেন। সেই তুলনায় সিনেমা দেখার শখ তার ছিল না। আর টেলিভিশনও দেখা হয় খুব কম।
“কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানান, ইদানীং গুগলের কারণে শর্টকাটে বিভিন্ন রেফারেন্স পাওয়া যায়। সবার ক্ষেত্রেই এটা হচ্ছে। এ কারণেই আমার অভ্যাসটাও পাল্টে গেছে,” বলেন মোদি।
Comments