কেবল খেলা দেখতে নয়, মানুষ যেন টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিতেও আসে
গোলাপি বলের টেস্ট ঘিরে ভারতে করা হয়েছিল তুমুল বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের ভাষায় যেটা বলা হয় ‘অ্যাগ্রেসিভ এড পলিসি’। তার ফলও মিলেছে। একপেশে লড়াই দেখতেও ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারি ছিল ভরপুর। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি মনে করেন, টেস্ট ক্রিকেটের মার্কেটিং নিয়ে ভাবা উচিত সংশ্লিষ্ট সবার। মানুষ যেন কেবল খেলা দেখতে নয়, খেলার অভিজ্ঞতা নিতেও আসতে পারে।
ভারত অধিনায়ক কেবল মাঠের খেলাতেই পটু না। ক্রিকেটীয় যেকোনো ব্যাখ্যাতেও রাখছেন চিন্তার ছাপ, দিচ্ছেন নতুন পরিকল্পনা। টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের মতো দলগুলোর ভালো না খেলার কারণ ব্যাখ্যা করে বড় করে তুলেছেন ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামো। এবার টেস্ট ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন নিয়ে জানালেন নতুন চিন্তার কথা।
তিনদিনে ইডেন টেস্ট শেষ হওয়ার পর এই টেস্টে ঘিরে তুমুল প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন গিয়েছিল তার কাছে। কেবল গোলাপি বলের খেলার কারণেই এত লোক এসেছে, নাকি পরিকল্পিত মার্কেটিং পলিসিও এর পেছনে কারণ?
কোহলি ব্যাখ্যায় বোঝালেন সমর্থকদের টেস্টে টেনে আনতে যেতে হবে ইন্টারেক্টিভ পন্থায়, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডের তুলনায় টেস্টের বিজ্ঞাপনটা খুব জটিল। কেবল খেলোয়াড়দের কাজ না এটা, সংশ্লিষ্ট বোর্ড, স্থানীয় ব্রডকাস্টারদের ভাবতে হবে কীভাবে নির্দিষ্ট পণ্য মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া যায়। আপনি যদি কেবল টি-টোয়েন্টির উত্তেজনা তৈরি করতে যান তাহলে ভুল বার্তা যাবে। খেলার মধ্যে অনেকভাবে মানুষকে যুক্ত করার ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দের।’
মানুষজন গ্যালারিতে বসে রোদে পড়ে খেলা দেখে বাড়ি ফিরে যাবে। এই ঠিক এই জায়গায় সব আটকে রাখার পক্ষে নন কোহলি। খেলা দেখার পাশাপাশি মাঠে একটা আবহ নিয়ে আসতে হবে, মানুষজনকে নানান কিছুতে যুক্ত করতে হবে, ‘শিশুদের জন্য একটা প্লে জোন থাকতে পারে মাঠে। এসব ছোট বিষয় সাহায্য করে। স্কুলের শিশুদের লাঞ্চ বিররি যদি ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়, খেলার সুযোগ পায়, সেটা দারুণ। বাইরে এমন হয়। এমন কিছু হলে মানুষজন ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিতে মাঠে আসবে। এটা এমন ইভেন্ট হওয়া উচিত যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিতে আসা যায়। কেবল বসল আর রোদে পুড়ে খেলা দেখল ব্যাপারটা এমন হওয়া উচিত না। ভক্তদের নানাভাবে সম্পৃক্ত করা উচিত।’
টেস্টের জনপ্রিয়তার জন্য গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলিয়ে একরকম নিরীক্ষার মধ্যেও আছে আইসিসি। বাংলাদেশ অধিনায়ক তার ইডেন অভিজ্ঞতা থেকে মনে করেন গোলাপি বল আসলেই মানুষকে টানছে, ‘যে পরিমাণ দর্শক দেখেছি। মোটামুটি ৫০ হাজার ছিলো মনে হয়। গোলাপি বলে খেলা হলে হয়তো দর্শকরা একটু বেশি আসবে। গোলাপি বলে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি থাকবে। মানুষ চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি পছন্দ করে। চ্যালেঞ্জ ছাড়া খেলা মানুষ পছন্দ করে না। চ্যালেঞ্জ থাকলে মানুষ অনেক আকৃষ্ট হবে গোলাপি বলের খেলায়।’
Comments