গুলশান হামলার সব আসামির সর্বোচ্চ সাজার আশা পুলিশের

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অভিযুক্ত আট আসামির সর্বোচ্চ সাজার ব্যাপারে আশাবাদী পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলার রায় হবে আগামী বুধবার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পনা থেকে চূড়ান্ত হামলা পর্যন্ত কার কী ভূমিকা ছিল অভিযোগপত্রে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রমাণসহ তাদের অপরাধ প্রমাণের চেষ্টা করেছি আমরা।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “একটি নির্ভুল অভিযোগপত্র দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরা। কাঙ্ক্ষিত রায় পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”
২০১৬ সালের ১ জুলাই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ওই জঙ্গি হামলায় ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক ছাড়াও আরও ছিলেন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এই হামলার জন্য “নব্য জেএমবি”কে দায়ী করে বাংলাদেশ সরকার।
এই মামলায় অভিযুক্ত আট জন এখন কারাগারে রয়েছেন। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী হামলাকারীদের সংগঠনে ভিড়িয়েছিলেন। রাশেদ ওরফে রাস ছিলেন পরিকল্পনাকারীদের একজন। গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন সোহেল মাহফুজ। অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান। হাদিসুর রহমান সাগর ও রকিবুল ইসলাম ছিলেন তথাকথিত ধর্ম শিক্ষক। অন্য দুজন অভিযুক্ত হলেন, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।
হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন। এর পর বিভিন্ন সময় হামলার পরিকল্পনা ও উদ্বুদ্ধকারী আট জন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, রায়ের দিন নিরাপত্তা জোরদার করতে এরই মধ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শক্তিশালী করছে পুলিশ।
জঙ্গি সংগঠনটির ছোট ছোট কিছু সেল এখনও সাবাইবার জগতে সক্রিয় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত আরও দুজন পলাতকের খোঁজ চলছে বলেও যোগ করেন তিনি।
Comments