চলে গেলেন কবি রবিউল হুসাইন

Robiul-Hossain-Photo-1.jpg
কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন। ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন আজ (২৬ নভেম্বর) ভোররাতে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর।

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৪৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকূপার রতিডাঙা গ্রামে জন্ম নেওয়া এই কবি রক্তের সংক্রমণে ভুগছিলেন।

রবিউল হুসাইন একাধারে কবি, স্থপতি, গল্পকার, শিল্প সমালোচক, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতিকর্মী ছিলেন। ২০১৮ সালে ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পান একুশে পদক।

কবির মরদেহ তার তার বাসা থেকে বারডেমের হিমঘরে আনা হবে।

আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে রবিউল হুসাইনের মরদেহ। সকাল সাড়ে ১০টায় মরদেহ নেওয়া হবে শহীদ মিনারে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহর নামাজ শেষে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং স্থপতি ইনস্টিটিউটে।

কবি রবিউল হুসাইনকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

রক্তের সংক্রমণের কারণে দুই সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধ- সব মিলিয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৫টি।

তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

কবি রবিউল হুসাইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘কি আছে এই অন্ধকারের গভীরে’, ‘স্থির বিন্দুর মোহন সংকট’, ‘বিষুবরেখা’, ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়াগুলি’, ‘অমনিবাস’, ‘দুর্দান্ত’, ‘এইসব নীল অপমান’, ‘গল্পগাঁথা’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা’ এবং ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি’।

Comments

The Daily Star  | English

Pakistan says it has launched military offensive against India

Locked in a longstanding dispute over Kashmir, the two countries have engaged in daily clashes since Wednesday

1h ago