‘দুই-তিন ম্যাচ পারফর্ম করতে না পারলেই গেইল দলের বোঝা’

দক্ষিণ আফ্রিকার এমজানসি সুপার লিগে এবার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিস গেইল। তার দল জোজি স্টার্সেরও হয়েছে ভরাডুবি। চুক্তির মেয়াদ শেষে দল ছাড়ার আগে বিদায়ী বার্তায় নিজেদের দুরবস্থা আর ব্যর্থতা নিয়ে যতটা না কথা বলেছেন গেইল, তার চেয়েও বেশি জানিয়েছেন নিজের নানা রকমের ক্ষোভ। অভিযোগ তুলেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট কখনোই তাকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি।
chris gayle
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার এমজানসি সুপার লিগে এবার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিস গেইল। তার দল জোজি স্টার্সেরও হয়েছে ভরাডুবি। চুক্তির মেয়াদ শেষে দল ছাড়ার আগে বিদায়ী বার্তায় নিজেদের দুরবস্থা আর ব্যর্থতা নিয়ে যতটা না কথা বলেছেন গেইল, তার চেয়েও বেশি জানিয়েছেন নিজের নানা রকমের ক্ষোভ। অভিযোগ তুলেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট কখনোই তাকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি।

জোজি স্টার্স এমজানসি সুপার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। তাদের হয়ে গেল মৌসুমটা দারুণ কেটেছিল গেইলের। এবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মৌসুমের প্রথম ছয়টি ম্যাচে খেলার জন্য। কিন্তু এই ছয় ইনিংসে মাত্র ১০১ রান এসেছে ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাত তারকার ব্যাট থেকে। এর মধ্যে বিদায়ী ম্যাচে খেলেন ২৮ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। গেইলের দলের অবস্থাও একেবারে তার মতো। ছয় ম্যাচ খেলে একটিও জিততে পারেনি তারা।

গেইল আশানুরূপ পারফরম্যান্স না দেখানোয়, স্বাভাবিকভাবেই তাকে শুনতে হচ্ছে নানা রকমের সমালোচনা। সেসব তাকে ক্ষুব্ধ করে করে তুলেছে। বিদায়ী ম্যাচ শেষে তাই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই ৪০ বছর বয়সী বাঁহাতি।

‘যখনই আমি টানা দুই-তিন ম্যাচে পারফর্ম করতে না পারি, তখন আমি দলের জন্য বোঝা হয়ে যাই। আমি কেবল এই দলের কথা বলছি না। অনেক বছর ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার পর এটা আমি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। দুই, তিন, চার ম্যাচে রান না করলেই ক্রিস গেইল দলের বোঝা। মনে হয় যেন এই নির্দিষ্ট একজনই দলের বোঝা। তখন কটু কথা শুনতে হয়। সম্মান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। দলের জন্য কী করেছি তা মানুষ মনে রাখে না। আমি কোনো সম্মান পাই না।’

‘কেবল এই ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়, সবমিলিয়েই বলছি আমি। এমনকি ক্রিকেটারদের কাছ থেকেও একই অভিজ্ঞতা পেয়েছি। ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, ম্যানেজমেন্টের প্রধান, বোর্ড সদস্য- ক্রিস গেইল কারও কাছ থেকেই কখনো সম্মান পায়নি। গেইল যখনই ব্যর্থ হয়, তখনই তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলা হয়, সে তখন বাতিলের খাতায়, সে সবচেয়ে বাজে ক্রিকেটার ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি এসব জয় করেই খেলেছি। আমি এগুলো প্রত্যাশা করেছি আর এগুলো নিয়েই এগিয়ে গেছি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago