বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।
হাইকোর্টের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। ছবি: রাশেদ সুমন

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় বিএনপির নেতা- কর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের ব্যানারে বেলা ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবরোধ তুলে নিয়ে কর্মসূচি শেষ করতে বলেন।

বিএনপি নেতারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান বলেন, বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী কোনো ঘোষিত কর্মসূচি ছাড়াই হঠাৎ হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নেন।

তিনি বলেন, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ও লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির জানালার কাচ ভাঙচুর করলে তারা অ্যাকশনে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন দাবি করে আরিফ বলেন, তারা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের আলোচনা কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

মওদুদ তার ব্যক্তিগত কারণে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা হাইকোর্টের দিকে একটি মিছিল বের করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যে এর গেটের সামনে অবস্থান নেন।

নোমান ছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত অন্যান্যের মধ্যে বিক্ষোভে অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English
Awami League didn't nominate anyone in 2 seats

Seat-sharing for JS polls: AL keeps its allies hanging

A crucial meeting between the Awami League and its 14-party allies ended last night without any concrete decisions on seat sharing.

10h ago