ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় কলকাতায় আটকা সাইফ হাসান

হাতের চোটে কলকাতা টেস্টের আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সাইফ হাসান। এবার এই তরুণ ক্রিকেটার পড়লেন আরেক বিড়ম্বনায়। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে এয়ারপোর্ট গেলেও আবার উল্টো হোটেলে ফেরত আসেন তিনি। ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
saif hasan
ফাইল ছবি: একুশ তাপাদার

হাতের চোটে কলকাতা টেস্টের আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সাইফ হাসান। এবার এই তরুণ ক্রিকেটার পড়লেন আরেক বিড়ম্বনায়। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে এয়ারপোর্ট গেলেও আবার উল্টো হোটেলে ফেরত আসেন তিনি। ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।

সাইফের ভারতীয় ভিসার ছয় মাসের মেয়াদের শেষ তারিখ ছিল গেল রবিবার (২৪ নভেম্বর)। পরদিন দেশে ফেরার বিমান ধরতে সাইফ যান নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দরে। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসার কারণে বাংলাদেশ বিমানের বোর্ডিং থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।

সাইফ নিজেই তার ভিসা-জটিলতার কথা নিশ্চিত করেছেন, ‘আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ২৪ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ ছিল কিন্তু আমি যাচ্ছিলাম ২৫ তারিখ। কালকে (বুধবার) চলে যাব ইনশাআল্লাহ। আশা করছি, হয়ে যাবে, কাল দুপুরে জানিয়ে দেবে (হাইকমিশন)।’

টেস্ট সিরিজ খেলতে সাইফ ভারতে এসেছিলেন গেল ৮ নভেম্বর। কিন্তু তার ভিসা করানো হয়েছিল বেশ আগে।  বিসিবি একাদশের হয়ে বিদর্ভের বিপক্ষে গেল জুন মাসে ভারতে খেলতে এসেছিলেন তিনি। এবার জাতীয় দলের হয়ে ভারত সফরের শেষ দিকে তার সেই ভিসার মেয়াদ যে ফুরিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের কেউই তা নজরে আনেননি।

কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারতের গোলাপি বলের টেস্ট শেষ হয় তিন দিনেই। ২৪ তারিখেই ছিল খেলার তৃতীয় দিন। খেলা আগে শেষ হয়ে যাওয়ায় সেদিন রাতেই মুমিনুল হকসহ চার ক্রিকেটার দেশে ফিরে যান। সাইফ , সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেনের ফ্লাইট ছিল পরদিন। বাকি তিনজন যেতে পারলেও ভিসার মেয়াদ না থাকায় হোটেলে ফিরতে হয় সাইফকে। 

টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে অবশ্য চোটগ্রস্ত সাইফকে দেশে ফেরানো যেত টেস্ট শুরুর আগেই। কলকাতা টেস্ট শুরু হওয়ার আগের দিন অর্থাৎ ২১ নভেম্বর নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল খেলতে পারছে না তিনি। তার বদলি কাউকে না এনে তাকে রেখে দেওয়া হয় দলের সঙ্গে। চোটের কারণে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাচ চলাকালীন সময়ে কনকাশন বদলিও হতে পারেননি।  

সাইফের এভাবে ভিসা জটিলতায় পড়া ভারত সফরে টিম ম্যানেজমেন্টের অগোছালো অবস্থাই তুলে ধরল। তিনি যদি ফিট থাকতেন, কলকাতা টেস্টে খেলতেন এবং সেই টেস্ট চারদিনেও গড়াত তাহলে খেলার মধ্যেই ভিসা জটিলতায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো বাংলাদেশ দলকে। 

কলকাতা টেস্টেই দুজন ক্রিকেটারকে কনকাশন বদলি করাতে হয় বাংলাদেশকে। সাইফ চোটে থাকায় বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করার জন্য ছিলেন কেবল মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচ চলাকালীন সময়েই তাই দেশ থেকে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পরে ম্যাচের গতি প্রকৃতি দেখে তা বাতিলও করে দেওয়া হয়। 

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago