বগুড়ায় ট্রেন চালকের দক্ষতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

বগুড়া রেলস্টেশনের কাছে অবৈধভাবে রেললাইনের ওপর বসা হকার্স মার্কেটের ওপর দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন অনেক দোকানদার এবং ক্রেতা। এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও দোলনচাঁপা ট্রেনের দুইজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বগুড়া রেলস্টেশনের কাছে অবৈধভাবে রেললাইনের ওপর বসা হকার্স মার্কেটের ওপর দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন অনেক দোকানদার এবং ক্রেতা। এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও দোলনচাঁপা ট্রেনের দুইজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া রেলস্টেশনের অদূরে ‘হঠাৎ মার্কেটে’ (রেল লাইনের উপর স্থাপিত অস্থায়ী কাপড়ের দোকান) এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

বগুড়া স্টেশন মাস্টার মো. আবুল কাসেম জানান, আজ দুপুরে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেসের সঙ্গে দিনাজপুর থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের ক্রসিং এরেঞ্জমেন্ট ছিল ১২.৯ মিনিটে। ক্রসিংয়ের জন্য লালমনি এক্সপ্রেস বগুড়া স্টেশনে অপেক্ষা করছিল। অন্য দিকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসকে ২ নম্বর লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল দেওয়া হয়। দোকানিরাও বুঝতে পারেননি তারা যে লাইনের ওপর পসরা সাজিয়ে বসেছেন তার ওপর দিয়েই দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস যাবে। হঠাৎ ট্রেন চলে আসার পর দোকানদার ও ক্রেতারা মালপত্র ফেলে দিয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন।

স্টেশন মাস্টার বলেন, এসময় ট্রেনের গতি কম থাকায় দোলনচাঁপার চালক কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেন থামিয়ে দিতে সক্ষম হন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

মো. সজীব হোসেন নামের একজন দোকানদার বলেন, ট্রেনটি না থামলে আজ অনেক মানুষকে জীবন হারাতে হতো। আমরা বুঝতে পারিনি যে দোলনচাঁপা দুই নাম্বার লাইনে প্রবেশ করবে। ঘটনার সময় এখানে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন দোকানদার বলেন, “পেট চালানোর জন্যই আমাদের এই অবৈধ দোকান। এইখানে একজন বাঁশিওয়ালা রাখা আছে, ট্রেন কোন লাইনে প্রবেশ করছে তা সে বাঁশি বাজিয়ে জানিয়ে দেয়। কিন্তু আজ সে ওখানে না থাকায় এমনটি ঘটেছে।”

বগুড়া স্টেশনের সামনে অবৈধ হঠাৎ মার্কেটে কম করে হলেও ৩০০ দোকান বসে। বিশেষ করে শীতের সময় হাজার হাজার মানুষের ভিড় লাগে এই মার্কেটে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও দু-একদিনের মধ্যেই ফিরে আসে সব দোকান। সর্বশেষ গত ১৯ নভেম্বরেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানান স্টেশন মাস্টার। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago