সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই অব্যাহত থাকবে, আশা ফারাজের পরিবারের

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড রায় দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের পরিবার। সন্ত্রাস দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির জন্যে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
Faraaz Ayaaz Hossain
গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড রায় দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের পরিবার। সন্ত্রাস দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির জন্যে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।

ফারাজের ভাই জারাইফ আইয়াত হোসেন বলেন, “সন্ত্রাস দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির জন্যে আমরা, ফারাজের পরিবারের সদস্যরা, সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকার সাফল্যের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করছে।”

“আমরা আশা করি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই অব্যাহত থাকবে,” যোগ করেন তিনি।

হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দায়ে গতকাল (২৭ নভেম্বর) সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই রায়ে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জারাইফ আইয়াত হোসেন বলেন, “আজ আমাদের মনে সেই নৃশংস হামলার কথা ভেসে উঠছে। সেই ভয়ঙ্কর রাতে আমরা আমাদের প্রিয় ফারাজকে হারাই।”

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের রেস্তোরাঁটিতে চালানো হয় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট সন্ত্রাসী হামলা। সেই হামলায় রেস্তোরাঁর ভেতরে ২০ জনকে জিম্মি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি। এছাড়াও, হামলা মোকাবেলা করতে গিয়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান বন্ধু অবিন্তা কবির ও ভারতীয় বন্ধু তরিশি জৈনকে নিয়ে ফারাজ সেই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে যান। জঙ্গিরা অমুসলমান ও বিদেশিদের লক্ষ্য করে। জঙ্গিরা যখন জানতে পারে ফারাজ বাংলাদেশি মুসলমান তখন তারা তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু, তার সঙ্গে বন্ধুদেরও ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে তিনি। জঙ্গিরা তার বন্ধুদের ছেড়ে দিতে রাজি না হলে ফারাজ শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গেই থেকে যান।

সিমিন হোসেন এবং ওয়াকার হোসেন দম্পতির ২০ বছরের ছেলে ফারাজ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র।

“ফারাজ যে অপরিসীম সাহসিকতা দেখিয়েছে সে জন্যে আমরা গর্বিত। দুই বন্ধুকে বিপদের মধ্যে রেখে নিজে চলে না এসে যে মানবিকতার পরিচয় সে দিয়েছে তা দুর্লভ।… সেই রাতে ফারাজ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশিরা বন্ধুবৎসল,” যোগ করেন জারাইফ।

একইসঙ্গে জারাইফ সেই রাতে নৃশংসতার শিকার নিরপরাধ ইতালীয়, জাপানি, আমেরিকান, ভারতীয় ও বাংলাদেশিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:

৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, ১ জন খালাস

রায় দ্রুত কার্যকরের আর্জি নিহতের পরিবারের

গুলশান হামলার রায়: কড়া নিরাপত্তায় ৮ আসামি আদালতে

হোলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ১২টায়

অন্ধকারে আলোর দিশারী

আইএস টুপির উৎস কী?

হোলি আর্টিজানে হামলাকারীরা সহানুভূতি পেতে পারে না: বিচারক

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago