আইএস টুপির উৎস কারাগার: পুলিশ

২৭ নভেম্বর ২০১৯, আইএস টুপি পড়ে আদালত থেকে পুলিশি প্রহরায় বের হচ্ছে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান। ছবি: আনিসুর রহমান

হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রকিবুল হাসান রিগ্যান আদালত প্রাঙ্গণে যে আইএস স্লোগান সম্বলিত টুপি মাথায় দিয়েছিলো তা কারাগার থেকে এসেছে বলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম দ্য ডেইলি স্টারকে গতকাল (২৮ নভেম্বর) বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, কারাগার থেকে সে টুপি উল্টো করে পরে আদালতে এসেছিলো। তারপর, আদালতে এসে টুপিটি সোজা করে পরে।”

যদি কোনো আসামি আদালতে টুপি পরে আসেন তাহলে তাকে কোনো বাধা দেওয়া হয় না বলেও যোগ করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান মাহবুব বলেন, আইএস এধরনের টুপি বানায় এরকম কোনো দৃষ্টান্ত ছিলো না।

তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলেও জানান তিনি।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, ডিবির উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন।

২৭ নভেম্বর হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আইএসের স্লোগান সম্বলিত টুপি মাথায় পরে। সেই টুপি পরে সে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশি প্রহরায় প্রিজন ভ্যানে উঠে। মামলার অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধিও একই রকমের টুপি পরেছিলো।

কিন্তু, কোথায় থেকে সেই টুপি এসেছিলো?- এমন প্রশ্ন জাগে আদালত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ঘটনার দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কারাগারে তল্লাশির পর আসামিদের গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “আমাদের হাতে যেসব ভিডিও ফুটেজ রয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, এমন কোনো টুপি পরে আসামিরা কারাগার ছাড়েনি।”

এরপর, কারা কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

'March to Jamuna': Police charge baton to disperse JnU students

At least 25 students were taken to DMCH after suffering injuries from baton charges or falling ill due to tear gas inhalation

24m ago