ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার পেলেন ইউএনও ফরিদা ইয়াসমিন
চলতি বছরের ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার’ পেয়েছেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন। বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আজ (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এক অনুষ্ঠানে ফরিদা ইয়াসমিনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন পেপসিকো ইন্ডিয়া রিজিঅনের প্রধান আহমেদ আল শেখ।
একইসঙ্গে স্বীকৃতি সনদের পাশাপাশি ফরিদা ইয়াসমিনকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান করা হয়।
এ সময় জুরিবোর্ডের সদস্য বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও ফারাজের মা সিমিন হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ফরিদা ইয়াসমিন বারহাট্টার ইউএনও থাকাকালে ৫৯টি বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, বন্ধু-স্বজনদের প্রতি দায়িত্ব ও সংবেদনশীলতার নজির তৈরি করে যারা ব্যতিক্রমী সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তার স্বীকৃতি হিসেবে পেপসিকো গ্লোবাল ২০১৬ সাল থেকে এই সাহসিকতা পুরস্কার দিয়ে আসছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার সময় রেস্তোরাঁটিতে ফারাজ আইয়াজ হোসেন তার দুই বিদেশি বন্ধুকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। সেসময় জঙ্গিরা তাকে চলে যেতে বললে তিনি বন্ধুদের বিপদে রেখে যেতে রাজি হননি। তিনি জঙ্গি-হামলায় নিহত হন।
ফারাজের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ পেপসিকো গ্লোবাল ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার’ দিয়ে আসছে। পুরস্কারটির জন্যে ২ লাখ ডলারের তহবিল গঠন করা হয়েছে। আগামী ২০ বছর এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
পুরস্কার বিতরণীর আগে এক বার্তায় পেপসিকো গ্লোবাল জানায়, বন্ধুত্বের জন্যে ফারাজ আত্মত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশি যুবকদের মধ্যে সাহসিকতার স্পৃহাকে উদ্দীপ্ত করতে এবং সাহসিকতার কাজে উদ্বুদ্ধ করাই এই পুরস্কারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন:
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াই অব্যাহত থাকবে, আশা ফারাজের পরিবারের
Comments