মেসি জাদুতে অ্যাতলেতিকোকে হারিয়ে ফের শীর্ষে বার্সা

ছবি: এএফপি

আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাচ্ছিল। বেশ কিছু দারুণ আক্রমণ থেকে গোল পায়নি অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। বঞ্চিত হয়েছিল বার্সেলোনাও। ম্যাচ তখন মনে হচ্ছিল গোলশূন্য ড্রই হতে যাচ্ছে। তবে শেষদিকে একাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন লিওনেল মেসি। ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় তার প্রথম গোলে দারুণ জয় পেল বার্সেলোনা। ১-০ গোলের স্বস্তির জয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে ফের শীর্ষে উঠে আসে দলটি।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে অ্যাতোলেতিকো। প্রথম ২৫ মিনিটে তো পাত্তাই পায়নি বার্সা। সপ্তম মিনিটে তো প্রায় গোলও পেয়ে যাচ্ছিল দলটি। মারিও হেরমোসোর শট জুনিয়র ফিরপোর পায়ে লেগে দিক বদলে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে বেঁচে যায় বার্সেলোনা। 

দশম মিনিটে কিয়েরেন ট্রিপিয়েরের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন আলভারো মোরাতা। তবে দারুণ এক ট্যাকলে কর্নারের বিনিময়ে সে যাত্রা দলকে রক্ষা করেন জেরার্দ পিকে। ছয় মিনিট পর ফ্রিকিক থেকে ফাঁকায় থেকে হেড নেওয়ার সুযোগ পান ফেলিপো। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

২০তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক সেভ করেন মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। হোয়াও ফেলিক্সের  ক্রসে দারুণ শট নিয়েছিলেন হেরমোসো। দুর্দান্ত দক্ষতায় একবারে গোললাইন থেকে ফেরান টের স্টেগেন।  ছয় মিনিট পর প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ সৃষ্ট করতে সফরকারীরা। মেসির পাস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি রাকিতিচ। তার দুর্বল শট সহজেই ধরে ফেলেন জন ওবলাক।

৩২তম মিনিটে রাকিতিচের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ফেলিক্স। তবে তার শট এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বারপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে সে যাত্রা বেঁচে যায় বার্সা। চার মিনিট পর সুয়ারেজের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৪০তম মিনিটে আবারো অবিশ্বাস্য স্টেগেন। কর্নার থেকে মোরাতার নেওয়া জোরালো হেড একেবারে গোললাইন থেকে ফেরান এ জার্মান গোলরক্ষক।

৪২তম মিনিটে বারপোস্ট হতাশ করে বার্সাকেও। আর্থুরের মেলোর কর্নার কিক থেকে জেরার্দ পিকের হেড বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে প্রথমার্ধে সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

৬৩তম মিনিটে সের্জি রোবার্তোর ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও বুদ্ধিদীপ্ত শট নিতে নিতে না পাড়ায় গোলবঞ্চিত হন সুয়ারেজ। গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিলে নষ্ট হয় সে সুযোগ। পরের মিনিটে ভালো শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে এক ডিফেন্ডার ডি-বক্স থেকে ফেরান।

৬৯তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় চার খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। পরে সুরারেজকে পাস দিলে ফাঁকায় গ্রিজমানকে বল দেন এ উরুগুইয়ান। কিন্তু একেবারে ফাঁকায় থেকে নেওয়া গ্রিজমানের ভলি লক্ষ্যে থাকেনি। ৭২তম মিনিটে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় গোললাইন থেকে মোরাতার শট ঠেকান সের্জি রোবার্তো।

৮৬তম মিনিটে মেসির জাদু। কাঙ্ক্ষিত গোল পায় বার্সেলোনা। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল কাটিয়ে নিয়ে সুয়ারেজের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ আর্জেন্টাইন।  ফলে জয়ের সন্তুষ্টি নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা।

এ জয়ে ১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট হলো বার্সেলোনার। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এলো দলটি। যদিও সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্টও ৩১। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে কাতালান ক্লাবটি।  

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago