আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
murder logo
প্রতীকী ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।

আজ (২ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত জাকির হোসেন উপজেলার আমিরাবদ এলাকার মৃত আরজ আলীর ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবী হোসেন ও জাতীয় পার্টির সমর্থক আমির হোসেনের নেতৃত্বে তাদের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিলো। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

আজ ভোররাত সাড়ে ১২টায় ওই বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, টেটা, লোহার রড, কাঠ-বাঁশ নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়।

এতে জাকির হোসেন (৩২), আল আমিন (৩৩), আবু হানিফ (৩১), সিরাজ মিয়া (৩৭) সহ চার থেকে পাঁচজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাকির হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জাকির হোসেনের বড় ভাই মনির হোসেন বলেন, “নবী হোসেন ও আমির হোসেনের লোকজনই আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।”

নিহতের সংবাদের পর থেকে নবী হোসেন ও আমির হোসেন পলাতক রয়েছে। দুজনের ব্যবহারের মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন মারা গেছে। এছাড়াও আহত আছে আরও চার থেকে পাঁচজন। ঘটনার পর থেকেই নবী হোসেন ও আমীর হোসেনসহ তাদের লোকজন পলাতক রয়েছে। তাদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।”

“এ ঘটনায় নবী হোসেন গ্রুপের আবু হানিফ (৩০) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”

Comments