ড্র করে ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারাল নিউজিল্যান্ড
অতিনাটকীয় কিছু না হলে হ্যামিল্টন টেস্ট ড্র হচ্ছে, এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। ম্যাচের শেষ দিনের প্রথম সেশনটা যখন নিরাপদে কাটিয়ে দেন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর, তখন আর কোনো সন্দেহ থাকেনি। বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ায় টেস্টের সমাপ্তি হয়েছে বেশ আগেভাগে। তার আগে ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন উইলিয়ামসন, টেইলর পেয়েছেন ১৯তম সেঞ্চুরির দেখা।
সেডন পার্কে ড্র হয়েছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। মাউন্ট মঙ্গানুইতে আগের টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিক কিউইরা। ফলে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচির বাইরে থাকা দুই ম্যাচের এই সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে তারা।
চতুর্থ দিনের ২ উইকেটে ৯৬ রান নিয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) খেলতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। এদিন ৪১ ওভার ব্যাটিং করেছে তারা। হারায়নি কোনো উইকেট। দলটি যোগ করেছে আরও ১৪৫ রান। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে অধিনায়ক উইলিয়ামসন অপরাজিত থাকেন ২৩৪ বলে ১০৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল ১১ চার। অভিজ্ঞ টেইলর ১৮৬ বলে খেলেন হার না মানা ১০৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ২ ছক্কা। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা যোগ করেন ২১৩ রান।
২ উইকেটে ২১১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তখন উইলিয়ামসন ৯৬ ও টেইলর ৮৪ রানে খেলছিলেন। বিরতির পর দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। প্রথম সেশনে অবশ্য উইলিয়ামসনকে আউট করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু জোফরা আর্চারের বলে মিড-উইকেটে একদম সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন জো ডেনলি। তখন কিউই দলনেতা ছিলেন ৬১ রানে।
এ ম্যাচে ইংল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করায় অধিনায়ক জো রুট হন ম্যাচসেরা। দুই টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন নিউজিল্যান্ডের পেসার নেইল ওয়াগনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৭৫
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৭৬
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৯৬/২) ৭৫ ওভারে ২৪১/২ (লাথাম ১৮, রাভাল ০, উইলিয়ামসন ১০৪*, টেইলর ১০৫*; ব্রড ০/২৮, কারান ১/৫৬, আর্চার ০/২৭, ওকস ১/১২, স্টোকস ০/৫৮, ডেনলি ০/২৭, রুট ০/২৩)।
Comments