প্লেনে-জাহাজে এতো পেঁয়াজ আসলো, সেগুলো গেলো কোথায়: মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জীবনযাপন খরচ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যে হারে বেড়েছে, সেভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও বাড়েনি।
Nagorik-Oikya-1.jpg
৬ ডিসেম্বর ২০১৯, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক নারী ঐক্য আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: স্টার

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জীবনযাপন খরচ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যে হারে বেড়েছে, সেভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও বাড়েনি।

তিনি বলেন, “এভাবে যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, মানুষ কীভাবে বাঁচবে? মানুষের আয় তো বাড়েনি। এদেশে গুটিকয়েক লোক কোটিপতি হয়েছে, অথচ লক্ষ-কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।”

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী নারী কর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে নাগরিক ঐক্যের সহযোগী সংগঠন নাগরিক নারী ঐক্য আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্য ও নাগরিক নারী ঐক্যের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে মান্না বলেন, “আপনারা মানুষের দুঃখ-কষ্ট শোনার পর তার কোনো প্রতিকার করতে পারলেন না। আপনারা পেঁয়াজের দাম কমাতে পারেননি। চাল, শাক-সবজির দাম কমাতে পারেননি।”

“এবার মানুষ আপনাদের ভোট দেয়নি। আপনারা ভোট দিতে দেননি, দখল করে নিয়েছেন। আপনাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো বৈধ অধিকার নেই। আপনারা অবৈধ। আপনারা কোনো কাজ ঠিকভাবে করতে পারছেন না”, বলেন তিনি।

মান্না বলেন, “সরকার শুধু পারে, তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তাদেরকে ধরে ধরে জেলে ভরতে এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন করতে।”

সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে উল্লেখ করে এই রাজনীতিক আরও বলেন, “বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা কেউ দেখাতে পারেনি। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই চলবে না। পাশাপাশি পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে হবে।”

মান্নার প্রশ্ন, “প্লেনে-জাহাজে এতো পেঁয়াজ আসলো, সেগুলো গেলো কোথায়? এতে পেঁয়াজের দাম কমলো না কেনো?”

সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আপনারা গায়ের জোরে ক্ষমতা নেওয়ার পরে, ক্ষমতাটা চালাতে পারছেন না। আপনারা নারীর ইজ্জত দিতে পারেন না, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারেন না, জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেন না।”

ব্যর্থতার এসব দায় মাথায় নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার এবং আগাম নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সরকার ধীরে ধীরে সারাবিশ্বে বন্ধুহীন হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সৌদি আরব থেকে এতো নারী গৃহকর্মীর লাশ এবং এতো নারী নির্যাতিত হয়ে আসার পরেও সরকার এর কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি।”

“তারা (সরকার) দেশের কী রক্ষা করবে?” প্রশ্ন করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago