ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের সমন্বয় দরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের—নির্বাহী, আইন ও বিচার—মধ্যে অবশ্যই যথাযথ সমন্বয় ও সুসম্পর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব সময়ে বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ একটি রাষ্ট্রের জন্য অনিবার্য। এই বিভাগগুলো তাদের নিজেদের আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে। ন্যায়বিচার, শান্তি ও সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই বিভাগগুলোর মধ্যে যথাযথ সমন্বয় জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ন্যায়বিচার’ শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন একটি অবস্থান আশা করি, যেখানে রাষ্ট্রের এই তিনটি বিভাগ একে অপরের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করবে না। এতে ন্যায়বিচার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখা ও সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ তৈরি করেছেন এবং এটি পরিবর্তনের কর্তৃত্ব কেবল তারই। তিনি (রাষ্ট্রপতি) ‘রুলস অব বিজনেস’ও তৈরি করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধানের ৫১(১) ও ৫৫(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কার্যক্রম নিয়ে আদালতে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারবে না। তবে কখনো কখনো রাষ্ট্রপতির জুরিসডিকশনের অধীন ইস্যুতে অর্ডার দিতে দেখছি।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বিচারকেরা তাদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবেন।
শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব অনুযায়ী অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ জোরদারে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. আলী আকবর এবং মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ হোসনে আরা। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সারা দেশের নিম্ন আদালতের বিচারকেরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
Comments