১০ ডিসেম্বর থেকে পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন

জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকেরা।
Jute-Mill-Workers-1.jpg
৮ ডিসেম্বর ২০১৯, জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের অন্তত ৩২ হাজার শ্রমিক আন্দোলন করছেন। ছবি: স্টার

জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকেরা।

আজ (৮ ডিসেম্বর) তাদের পূর্বঘোষিত সাত পর্বের আন্দোলন কর্মসূচীর ষষ্ঠতম দিন চলছে।

আমাদের খুলনা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিজ নিজ পাটকলের সামনে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকেরা। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

তিনি আরও জানান, খুলনা অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আছে নয়টি। এর মধ্যে খুলনায় আছে সাতটি ও যশোরে দুটি। সেগুলো হলো- ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, দৌলতপুর, খালিশপুর, দিঘলিয়া, আলীম, ইস্টার্ন, কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিল। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ১১ দফা দাবিতে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের অন্তত ৩২ হাজার শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন।

এরিমধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর শ্রমিকদের ১২ সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেছে পাটকল কর্তৃপক্ষ।

প্লাটিনাম পাটকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, “২০১৫ সালে ঘোষণা দেওয়ার পরও জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করেনি সরকার।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচীতে যাবো।”

ক্রিসেন্ট পাটকল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি, কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে কোনো সাড়াই দিচ্ছে না।”

তিনি আরও বলেন, “কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়ে আমাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে করছে। তবে এবার আর আমরা হাল ছাড়ছি না।”

জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ছাড়াও পাটকল শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো- সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পি.এফ. গ্রাচ্যুইটির টাকা পরিশোধ করা।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago