শিশুদের কথা তুলে ধরতে ইউনিসেফের সঙ্গে আরও ৪টি টেলিভিশনের চুক্তি

আন্তর্জাতিক শিশু সম্প্রচার দিবস উপলক্ষে শিশুদের কথা জোরালোভাবে ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে আরও চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এগুলো হলো- এটিএন নিউজ, ডিবিসি, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও নাগরিক টিভি।
Unicef-1.jpg
ছবি: ইউনিসেফ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

আন্তর্জাতিক শিশু সম্প্রচার দিবস উপলক্ষে শিশুদের কথা জোরালোভাবে ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে আরও চারটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এগুলো হলো- এটিএন নিউজ, ডিবিসি, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও নাগরিক টিভি।

গতকাল (৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এই চার টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

এখন থেকে তারা নতুন ভিডিও, শিশুদের তৈরি ভিডিও চিত্র, জনস্বার্থ ঘোষণা ও টিভি স্পটের মাধ্যমে শিশুদের বিষয়গুলো তুলে ধরতে এক মিনিট প্রচার সময় ( এয়ারটাইম) বরাদ্দ করবে।

এর আগে, ২০১২ সাল থেকে ইউনিসেফ আরও ১২টি টেলিভিশনের সঙ্গে একই ধরনের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলে। চ্যানেলগুলো হচ্ছে- এটিএন বাংলা, দেশ টিভি, বৈশাখী, সময় টিভি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, গাজী টিভি, একাত্তর টিভি, একুশে টিভি, দুরন্ত টিভি, বিজয় টিভি, বাংলা টিভি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন।

শিশুরা যাতে বিস্তৃত পরিসরে তাদের মতামত ও দাবি প্রকাশ করতে পারে, সেজন্য তাদের ভিজুয়াল স্বাক্ষরতা প্রদান, মিডিয়ায় তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার জোরদারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ইউনিসেফ। চলমান এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ উল্লেখিত টিভি কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে।

এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা, ঢাকা বাংলা মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেডের (ডিবিসি নিউজ) এডিটর-ইন-চিফ ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুণ্ড, নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর নুর তুষার এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশর প্রতিনিধি তোমো হোজুমি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

চার টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তোমো হোজুমি বলেন, “সমাজে বিদ্যমান নেতিবাচক সামাজিক প্রথা ও রীতিনীতি পরিবর্তন করতে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আপনাদের সমর্থন আমাদের দরকার। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা শিশু, কিশোর ও তরুণ জনগোষ্ঠীর জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারবো। এটা একাধারে তাদের জীবন ও গোটা সমাজের জন্য উপকার বয়ে নিয়ে আসবে, কারণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ টেকসই উন্নয়ন এই জনগোষ্ঠীর উপরই নির্ভর করবে।”

Comments