এমন ‘নো’ বলও হয়!
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার। সিলেট থান্ডারের পেসার ক্যারিবিয়ান ক্রিসমার সান্তকি বল করতে এলেন। প্রথম দুই বল জায়গায় করার পর তৃতীয় বলে দিলেন বিশাল এক ওয়াইড। পরের দুই বল আবার ঠিকঠাক। তারপরের বলেই দেখা গেল অস্বাভাবিক এক ‘নো’ বল। লাইনের প্রায় এক হাত বাইরে গিয়ে পড়ল সান্তকির পা!
সাধারণত ওভারস্টেপিংয়ে ‘নো’ বল হলে পেশাদার ক্রিকেটারদের পা এত বাইরে পড়ার কোন কারণই নেই। লাইনের ইঞ্চিখানেক বাইরে পড়লেই সেটাকে মনে করা হয় অস্বাভাবিক। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের স্পট ফিক্সিং করা ‘নো’ বলেও পা এত বাইরে পড়েনি। এই নো বলে পাওয়া ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। পরের বলেই অবশ্য ছক্কা খান তিনি।
অস্বাভাবিক ওয়াইড আর নো বল দেওয়া ছাড়া সান্তকি অবশ্য বেশ ভালই বল করেছেন। আঁটসাঁটও বল করে ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখার কাজও করছিলেন বেশ সুচারুভাবে। তার প্রথম দুই ওভার থেকে চট্টগ্রাম নিতে পারে ১১ রান। তেতে থাকা আবিস্কা ফার্নেন্দোকেও আউট করেন তিনি। শেষ দুই ওভারে আবার মার খান। ৪ ওভার শেষে সান্তকি দেন ৩৪ রান।
বিপিএলের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেট থান্ডারকে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আগে ব্যাট করে তিনে নামা মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬২ রান করে সিলেট।
১৬৩ রানের লক্ষে রান তাড়ায় ব্যাট করছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
Comments