গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ আছে গণকবরের প্রমাণ নেই: মিয়ানমারের আইনজীবী

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের এজেন্ট উইলিয়াম স্ক্যাবাস বলেছেন, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে ঘটে যাওয়া নির্যাতন যে গণহত্যার উদ্দেশেই ঘটানো হয়েছে তার পক্ষে যুক্তি দিতে পারেনি গাম্বিয়া। এ কারণেই গাম্বিয়ার অভিযোগ ধোপে টিকবে না।

রোহিঙ্গারা যে নিপীড়নের মুখে পড়েছিল সে কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আকাশ থেকে তোলা ছবি দিয়ে তিনটি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই গ্রামগুলোতে কোনো গণকবরের দৃশ্য কিন্তু ওই ছবিতে ধরা পড়েনি। রোহিঙ্গাদের খাবার সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যেন তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে তো গণহত্যা প্রমাণিত হয় না।

মঙ্গলবার গাম্বিয়ার অভিযোগ উত্থাপনের সময় ১০ হাজার রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটি সত্য নয় দাবি করে মিয়ানমারের আইনজীবী বলেন, জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনেও এই সংখ্যক মানুষ নিহত হওয়ার তথ্য নেই। সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আর্সা) সংঘাতে নিহতদেরকেও গাম্বিয়া কথিত ১০ হাজার জনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

আরও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া অযৌক্তিক: সু চি

রাখাইন রাজ্যের সমস্যাটি আন্তর্জাতিক আদালতে আনার মতো বিষয় নয়: সু চি

‘মিয়ানমারে গণহত্যার ঘটনা ঘটছে না’

কেনো মামলা করলো গাম্বিয়া?- প্রশ্ন মিয়ানমারের

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

The meeting will be held tonight at 8:00pm at the State Guest House, Jamuna

1h ago