যুগে যুগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন যারা

এবারের জাতীয় পুরস্কারের আয়োজনে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ না করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। তার দাবি ছিলো ‘কমলা রকেট’ ছবিতে তিনি কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করেননি। এই কারণে পুরস্কার প্রত্যাহার চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। কর্তৃপক্ষ তার চিঠি গ্রহণ করে নেন।
বাম থেকে: গোলাম মুস্তফা, শাবানা ও সৈয়দ শামসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

এবারের জাতীয় পুরস্কারের আয়োজনে ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ না করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। তার দাবি ছিলো ‘কমলা রকেট’ ছবিতে তিনি কৌতুক চরিত্রে অভিনয় করেননি। এই কারণে পুরস্কার প্রত্যাহার চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। কর্তৃপক্ষ তার চিঠি গ্রহণ করে নেন।

এর আগে ১৯৭৭ সালে স্বনামধন্য অভিনেত্রী শাবানাকে ‘জননী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রীর জন্য নির্বাচন করা হয়েছিলো। সেই কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তখন তিনি বলেছিলেন তার চরিত্রটি পার্শ্বচরিত্র নয়। তার মাধ্যমেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ না করার সংস্কৃতি চালু হয়।

১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পান সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। কিন্তু, তিনি তা গ্রহণ করেননি। খ্যাতিমান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফা ‘নতুন বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রীর জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন। তখন তিনি পুরস্কারটি গ্রহণ করেননি।

১৯৯০ সালে অভিনেতা গোলাম মুস্তফা ‘ছুটির ফাঁদে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতার পুরস্কারের জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু, পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম প্রকাশের পর দেখা যায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নিয়তি’ ছবির জন্য সেরা নৃত্য পরিচালক হিসেবে হাবিবের নাম। অথচ, তিনি সেই চলচ্চিত্রে কাজই করেননি। সে কারণে তিনি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশের চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার প্রথা শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছিলো এফডিসি। তার আগ্রহেই চলচ্চিত্রের মানুষদের কাজের স্বীকৃতি দিতে প্রবর্তন করা হয় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। এটি চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার।

প্রতিবছরই শিল্পীরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করে থাকেন। প্রথমে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারটি দেওয়া হতো না। এটি চালু করা হয় ২০০৯ সালে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago