নিষ্প্রাণ ড্র টেস্টে আবিদ আলির বিশ্ব রেকর্ড
বৃষ্টিই ঠিক করে দিয়েছিল রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ভাগ্য। দশ বছর পর পাকিস্তানে টেস্ট ফেরার ম্যাচে জম্পেশ লড়াইয়ের আভাসে জল ঢেলে দেয় অসময়ের বৃষ্টি। স্বাগতিক দর্শকদের হতাশার মাঝে শেষ দিনে অবশ্য আনন্দ নিয়ে আসেন ওপেনার আবিদ আলি। ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন আগে। এবার টেস্ট অভিষেকেও করলেন তা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যা দেখেনি এর আগে।
প্রথম দিনে ব্যাট করতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বৃষ্টির বাধায় পঞ্চম দিনে গিয়ে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। যে ম্যাচে দুদলের এক ইনিংস শেষ হতেই জেরবার অবস্থা। সে ম্যাচ যে অনুমিত ড্র হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শেষ দিনে ৬ উইকেটে ৩০৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা।
এরপর ব্যাট করতে গিয়ে দিনের বাকিটা সময় দর্শকদের বিনোদিত করেন আবিদ আলি। তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান ২ উইকেটে ২৫২ রান করার দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
গত মার্চে ওয়ানডে অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ৩২ বছর বয়সী আবিদ। এবার টেস্ট অভিষেকেও করলেন তাই। দুই সংস্করণের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার তিনিই। ২০১ বল খেলে ১১ চারে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন আবিদ।
সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাবর আজমও। পাকিস্তানের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে। ১২৮ বলে অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে।
এর আগে ধনঞ্জয়ার ১০২ রানের অপর ভর করে নিশ্চিত ড্রয়ের পরিস্থিতি দেখে ৩০৮ রানেই ইনিংস ছেড়ে দেয় সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৯৭ ওভারে ৩০৮/৬ (ডি.) (করুনারত্নে ৫৯, ওশাদা ৪০, কুসল ১০, ম্যাথিউস ৩১, চান্দিমাল ২, ধনাঞ্জয়া ১০২*, ডিকভেলা ৩৩, দিলরুয়ান ১৬*; আব্বাস ১/৭২, শাহিন শাহ ২/৫৮, উসমান ১/৫৪, নাসিম ২/৯২, হারিস ০/১২, মাসুদ ০/০, শফিক ০/৮)।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৭০ ওভারে ২৫২/২ (মাসুদ ০, আবিদ ১০৯*, আজহার ৩৬, বাবর ১০২*; রাজিথা ৬-২-৫-১, বিশ্ব ০/৪৯, কুমারা ১/৪৬, দিলরুয়ান ০/৮৫, ধনাঞ্জয়া ০/৪৮, ওশাদা ০/৩, কুসল ০/১৪)।
ফল: ম্যাচ ড্র
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ০-০ সমতা
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবিদ আলি
Comments