যৌতুকের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে
চাকরিতে পদোন্নতির জন্য প্রয়োজনের কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিলেন কুমিল্লা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন। এই অভিযোগে স্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী তাহমিনা আক্তার পান্নার দায়ের করা মামলায় এই পুলিশ পরিদর্শক এখন কারাগারে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনোয়ার ছাদাত অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ পরিদর্শককে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পরিদর্শক কাজী মো. দিদারুল আলম।
মামলার বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার মৃত শরাফ উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তার পান্না জানান, তিনি নিজে গত ১ ডিসেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পান্নার সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারি এলাকার বাসিন্দা সামসুল আলমের ছেলে মো. সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়েতে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়। তাদের ঘরে তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়িতে এসে চাকরিতে পদোন্নতির কথা বলে স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু পান্না টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সালাউদ্দিন তাকে বেধড়ক পিটিয়ে চলে যান। এ জন্য বিচারের আশায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আদালত পরিদর্শক কাজী মো. দিদারুল আলম জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি সালাউদ্দিনকে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। অভিযুক্ত সালাউদ্দিন রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করার পর বিচারক না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Comments