মানুষের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলোও হরণ করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
“শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অলিখিত ঘোষণার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে আজকের এই দিনে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিলাম। এই যুদ্ধের মূল চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা- আজ ৪৯ বছর পরে এই দেশ সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রবিহীন হয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “এই দেশে আজ মানুষের কোনো অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোর সব হরণ করা হয়েছে। এমনকি মানুষের ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলোও হরণ করা হয়েছে।”
ফখরুল বলেন, “সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে- যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী ও নির্যাতিত হয়েছিলেন। তাকে আজকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে।”
“তিনি (খালেদা) দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি জনগণের ভোটে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুইবার বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে আজ অন্যায় ও নির্মমভাবে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা আজকের এই দিনে শপথ গ্রহণ করছি- যে চেতনার ভিত্তিতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, সেই চেতনাকে সামনে নিয়ে সমস্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো, দেশনেত্রীকে মুক্ত করবো।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
Comments