দিল্লি থেকে আলিগড়-লখনৌ: বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে

বিক্ষোভের আগুন ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে। এখন সেই আগুন উত্তর প্রদেশের রাজধানী শহর লখনৌ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর আলিগড় হয়ে ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, নতুন দিল্লিতে বিক্ষোভের সময় জ্বলন্ত একটি বাসের সামনে দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: রয়টার্স

বিক্ষোভের আগুন ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে। এখন সেই আগুন উত্তর প্রদেশের রাজধানী শহর লখনৌ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর আলিগড় হয়ে ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে প্রথমে সহিংস হয়ে উঠে আসাম-মেঘালয়সহ ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলো। এরপর, সেই আগুন এসে লাগে পশ্চিমবঙ্গে। এখন তা রাজধানী শহর দিল্লি হয়ে ছড়াচ্ছে লখনৌ-আলিগড়সহ অন্যান্য শহরেও।

আজ (১৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দিল্লিতে সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে রাতভর প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে আজ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে লখনৌ শহরের নাদওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এনডিটিভি জানায়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত সংহতি মিছিলের পর সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের সঙ্গে। গত সন্ধ্যায় দিল্লিতে সংঘর্ষের পর মধ্যরাতেই প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে হায়দরাবাদের মওলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বানে দিল্লির পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে কয়েকশ মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেন।

দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বাসে আগুন দেওয়া অভিযোগ

দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানায় গতকাল দিল্লিতে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেই জন্যে কিছু বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড় এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাসে বোতল থেকে তরল কিছু ছিটিয়ে দিচ্ছেন এক পুলিশ সদস্য।

এর আগে, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাগরিকত্ব ‘আইনের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ করলে সেসময়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। গতকাল সন্ধ্যায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের রাজধানী শহর। রণক্ষেত্রের রূপ নেয় দক্ষিণ দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকা।

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাস ও দুই চাকার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াসহ অনেকেই অভিযোগ করছেন যে পুলিশের কিছু সদস্য এই ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago