খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই ঝড় মাহমুদউল্লাহর

দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সতীর্থের ডাকে দুই রান নিতে গেলেন। তাতেই ঝামেলাটা বাঁধল। পেশীতে লাগল টান। এরপর বেশ কিছুক্ষণ প্রাথমিক শুশ্রূষা নিলেন। ব্যাটিংও করলেন। বলতে গেলে প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তারপরও ঝড় তুললেন অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্লাটুনের বোলারদের তুলোধুনো করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক করলেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। তাতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এবারের আসরে প্রথমবারের মতো দলীয় দুইশ রানের দেখা মিলল।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সতীর্থের ডাকে দুই রান নিতে গেলেন। তাতেই ঝামেলাটা বাঁধল। পেশীতে লাগল টান। এরপর বেশ কিছুক্ষণ প্রাথমিক শুশ্রূষা নিলেন। ব্যাটিংও করলেন। বলতে গেলে প্রায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তারপরও ঝড় তুললেন অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্লাটুনের বোলারদের তুলোধুনো করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক করলেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। তাতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এবারের আসরে প্রথমবারের মতো দলীয় দুইশ রানের দেখা মিলল।

পেশীতে টান লাগার পর সিঙ্গেলস-ডাবলসে তেমন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। তাই বলকে সীমানা পার করানোর দিকেই নজর দেন তিনি। জায়গায় দাঁড়িয়ে একের পর এক আগ্রাসী শট খেলতে থাকেন। ফলে মাত্র ২৪ বলেই আসে তার ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানের তাণ্ডব চালানো ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। মুখোমুখি হওয়া ২৮ বলে ৫ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কা মারেন তিনি। সতীর্থদের গড়ে দেওয়া ভিতকে কাজে লাগিয়ে তার তোলা ঝড়ে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২২১ রান। যা বিপিএলের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওপেনার লেন্ডল সিমন্স যখন আউট হন, তখন উইকেটে নামেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এর আগেই উড়ন্ত সূচনা করে দিয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান। আভিস্কা ফার্নান্দোকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৪.৪ ওভারে তোলেন ৫১ রান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গেও সিমন্স গড়েন ৫০ রানের জুটি। সবচেয়ে বড় কথা, পাওয়ার প্লেতেই আসে ৭৪ রান।

৫ চার ও ৪ ছয়ে সিমন্স করেন ৩৬ বলে ৫৭ রান। লঙ্কান আভিস্কার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬। ইমরুলও কম যাননি। খেলেন ২৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার তৃতীয় উইকেট জুটিটা ছিল ২৭ বলে ৬২ রানের। দলীয় ১৯১ রানে স্বাগতিকদের অধিনায়ক যখন বিদায় নেন, তখনও বাকি ১৮ বল। তার সদ্ব্যবহার করে দলের সংগ্রহ দুইশ ছাড়িয়ে নিয়ে যান আরেক উইন্ডিজ চ্যাডউইক ওয়ালটন। ১৮ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

চলতি আসলে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগের দিনই রাজশাহীর বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়া করে ১৯২ রান তুলেছিল খুলনা টাইগার্স। তবে সব বিপিএল মিলিয়ের এদিনের চট্টগ্রামের ইনিংসটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই চট্টগ্রামেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিলেন রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রামের মাঠে এ নিয়ে সাতবার দুইশ রানের বেশি করল কোন দল।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago