রোহিতের বিস্ফোরণের পর কুলদীপের হ্যাটট্রিক
বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে দেড়শো ছাড়িয়ে গেলেন রোহিত শর্মা, সেঞ্চুরি এল লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকেও। ভারত চড়ল রানের পাহাড়ে। জবাবে শেই হোপ, নিকোলাস পুরানরা দিচ্ছিলেন অতিমানবীয় কিছুর ইঙ্গিত। সেই সম্ভাবনা থামিয়ে কুলদীপ যাদব করলেন হ্যাটট্রিক। দারুণ জয়ে সিরিজে ফিরল ভারত।
চেন্নাইতে আগের ম্যাচে শেমরন হেটমায়ারে তাণ্ডবে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশাখাপত্তমে সিরিজে ফিরতে মরিয়া ভারত দুই সেঞ্চুরিতে করে ৩৮৭ রান। রান তাড়ায় এক পর্যায়ে আশা জাগিয়েও ক্যারিবিয়ানরা থামে ২৮০ রানে। ১০৭ রানের বড় জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতায় আসে ভারত।
পুরো ম্যাচের সবচেয়ে বড় হাইলাইট রোহিতের বছরে সপ্তম সেঞ্চুরি। এক বছরে তারচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল শচিন টেন্ডুলকারের। ওয়ানডেতে বড় ইনিংস খেলা রুটিনে পরিণত করা রোহিত আরো একবার ছাড়িয়ে যান দেড়শো।
লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই আসে ২২৭ রান। ১০৪ বলে ১০২ করে ফেরেন রাহুল। প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন বিরাট কোহলি।
তাতে সমস্যা হয়নি কিছু। রোহিত করেন ১৭ চার ৫ ছক্কায় করেন ১১৭ বলে ১৫৯ রান। শ্রেয়াস আইয়ারের ৩২ বলে ৫৯, ঋষভ পান্তের ১৬ বলে ৩৯ রানে স্বাগতিকতরা পৌঁছে যায় চারশোর কিনারে।
এভারেস্ট তাড়ারও প্রস্তুতি যেন নিয়েই নেমেছিল ক্যারিবিয়ানরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬১ করে বিদায় নেন এভিন লুইস। এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন হোপ। আগের ম্যাচের হিরো হেটমায়ার আর রোস্টন চেজ দ্রুত ফিরলে ঝড় শুরু করেন পাঁচে নামা নিকোলাস পুরান। হাফ ডজন চার-ছক্কায় তার বিস্ফোরণে নিভু নিভু আশা জ্বলে উঠছিল কাইরন পোলার্ডের দলের। কিন্তু আবার জোড়া আঘাত। ৪৭ বলে ৭৫ করা পুরানকে আউট করার পরেই বলেই মোহাম্মদ শামি কেড়ে নেন পোলার্ডকে।
এরপর হোপ, জেসন হোল্ডার আর আলজেরি জোসেফকে পর পর তিন বলে আউট করে নিজের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে দলের জেতার পথ অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন চায়নাম্যান কুলদীপ। বাকিটা হয়েছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা।
Comments