লিভারপুলকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেন ফিরমিনো
ম্যাচে চলছে সমতা। সময়ও তেমন বাকি নেই। তবে রবার্তো ফিরমিনোর ভাবনাটা ছিল ভিন্ন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে পার্থক্য গড়ে দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ফলে সেরা খেলাটা উপহার দিতে না পারলেও কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ইংলিশ পরাশক্তি লিভারপুল।
বুধবার রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় আসরের সেমি-ফাইনালে মনতেরেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
এ ম্যাচে অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি লিভারপুলের রক্ষণের নেতা ভার্জিল ভ্যান ডাইক। শুরুর একাদশে ছিলেন না নিয়মিত মুখ ফিরমিনো, সাদিও মানে ও ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ড। ফলে বল দখলে রাখলেও অলরেডদের খেলায় ছিল ছন্দের ঘাটতি। গোছালো আক্রমণও সংখ্যায় ছিল সীমিত। তবে শেষ পর্যন্ত উত্তর ও মধ্যে আমেরিকা অঞ্চলের ক্লাব চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর মনতেরেই নামক বাধাকে জয় করে শিরোপার মঞ্চে পা রেখেছে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গিনির মিডফিল্ডার নাবি কেইতার লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহর গোলের কারিগর। দুই মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরায় মনতেরেই। ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেয়ে অনেকটা সময় নিয়ে লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন রোগেলিও ফুনেস মোরি।
বিরতির আগে-পরে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে দুদলই। লিভারপুল জয়সূচক গোলটি পায় ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে। দুই বদলি খেলোয়াড়ের মেলবন্ধনে। ইংলিশ ডিফেন্ডার আলেকজান্ডার-আরনল্ডের ক্রস থেকে বল পেয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ফিরমিনো।
ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা এখনও জেতা হয়নি লিভারপুলের। এর আগে ২০০৫ সালের ফাইনালে তারা হেরেছিল ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলোর কাছে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আগামী ২১ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা। এবারের ফাইনালে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের আরেক ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো।
Comments