নাসিরের মতো এমন পিটুনি কেউ খায়নি বিপিএলে

nasir hossain
নাসির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে আগের তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে নাসির হোসেনের স্কোর ছিল যথাক্রমে ০, ২৪ ও ৩। প্রতি ম্যাচেই বল হাতে তুলে নিলেও নামের পাশে নেই কোনো উইকেট। এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সে খুশি হওয়ার সুযোগ কোথায়! নাসির অবশ্য দুবার উল্লাস করার সুযোগ পেলেন ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে। কিন্তু বল হাতে তার অবস্থা হলো আরও সঙ্গিন। বেদম পিটুনি খেয়ে বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে স্বাগতিক দল ৪ উইকেটে ২২১ রান তুললেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলেনি নাসিরের। পরে অবশ্য অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তার হাতে বল তুলে দেন পরম আস্থায়। দলের তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে আসেন নাসির। কিন্তু ৪ ওভার বল করে দেদার রান বিলিয়ে যান তিনি। চট্টগ্রামের ১৬ রানের জয়ে ঢাকার ২টি উইকেট তুলে নিতে পারলেও তিনি খরচ করেন ৬০ রান! ডট দিতে পারেন মাত্র ৭টি। হজম করেন ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা।

বিপিএলে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের আগের রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেনের। গেল বিপিএলে চট্টগ্রামের মাঠেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৯ রান দিয়েছিলেন খুলনা টাইটান্সের পেসার।

এদিন ঢাকার ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ের সুযোগ পান নাসির। সে ওভারে দেন ১৩ রান। পাওয়ার প্লের মধ্যে তার পরের ওভারটি থেকে ১৪ রান তুলে নেয় প্রতিপক্ষ। নাসির ফের বোলিংয়ে আসেন ত্রয়োদশ ওভারে। ফিফটি তুলে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকা মুমিনুল হককে সাজঘরে পাঠান তিনি। তবে ওই ওভারেও খরচ করেন ১০ রান।

নিজের শেষ ও ইনিংসের ১৬তম ওভারে নাসিরকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছাড়েন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি। সবমিলিয়ে আসে ২৩ রান। প্রথম ৩ বলে মাশরাফি মারেন টানা ছক্কা। পরের বলটিকেও সীমানা ছাড়া করেন চার মেরে। পঞ্চম বলে আবারও হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মাশরাফি। আর শেষ বলে মেহেদি হাসান নেন সিঙ্গেল। তাতেই ৬০ রান দিয়ে বিব্রতকর রেকর্ডের মালিক হয়ে যান নাসির।

Comments

The Daily Star  | English

Rising gas prices threaten our investment prospects

The previous government not only turned the country into a net importer of energy, but also initiated a process to make it an import-dependent.

7h ago