অভিশংসন থেকেও সুবিধা পেতে পারেন ট্রাম্প!

আমেরিকার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন। এবার তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে সিনেটে। কিন্তু, এই অভিশংসন ট্রাম্পের জন্যে ‘শাপে বর’ হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।
Donald Trump
১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, মিশিগানে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

আমেরিকার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন। এবার তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে সিনেটে। কিন্তু, এই অভিশংসন ট্রাম্পের জন্যে ‘শাপে বর’ হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের মত।

অভিশংসনের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের ভাগ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে নানা বিশ্লেষণ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে আজ (১৯ ডিসেম্বর) বলা হয়, ট্রাম্পকে অভিশংসিত করার পর বিরোধী ডেমোক্রেটরাই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির এডিটর অ্যাট লার্জ ক্রিস চিলিজ্জা তার বিশ্লেষণে বলেছেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা হয়েছে।… কিন্তু, বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে- প্রকৃতপক্ষে এই অভিশংসন প্রক্রিয়া রাজনৈতিকভাবে ট্রাম্পকেই সাহায্য করতে পারে।”

তিনি বলেন, গতকাল প্রকাশিত গ্যালআপ জরিপে দেখা গেছে- ট্রাম্পের চাকরি দেওয়ার হার ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশে এবং ট্রাম্পকে অভিশংসিত করার প্রতি জনসমর্থন ৫২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশে।

গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সিএনএন পরিচালিত জরিপে দেখা গিয়েছিলো ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরাতে মত দিয়েছেন ৫০ শতাংশ মানুষ। গেলো সপ্তাহে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশে।

ট্রাম্পের প্রতি নাগরিকদের মনোভাব বদলাতে সময় না লাগলেও জরিপের এমন ফলাফল ডেমোক্রেটদের বিব্রত করছে বলে মন্তব্য ক্রিস চিলিজ্জার। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় সহজেই ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা সম্ভব হয়েছে। পরিষদের স্পিকার ও ডেমোক্রেট নেতা ন্যান্সি পেলোসি চাননি এভাবে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসিত করা হোক। কেননা, আমেরিকার দুই দলের রাজনীতিতে শুধুমাত্র ডেমোক্রেটদের ইচ্ছাতেই রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করা ঠিক হবে না বলে বারবার বলেছেন তিনি।

ক্রিসের মত, পেলোসির সেই ভাবনাটিই ঠিক হতে যাচ্ছে। কেননা, প্রতিনিধি পরিষদে শুধু ডেমোক্রেটরাই অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকানরা। এখন অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে সিনেটে। সেখানে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা যদি রাষ্ট্রপতির পক্ষে ভোট দেন তাহলে তা ডেমোক্রেটদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিবে। দিন শেষে ট্রাম্প হবেন আরও শক্তিশালী।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago