সবার চোখ সাধারণ সম্পাদক পদের দিকে

আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেজেছিলো পতাকা, ব্যানার এবং ফেস্টুন নেতাদের ছবিতে। কাউন্সিলের প্রথম দিনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী। তবে সবার আগ্রহ ছিলো দলটির সাধারণ সম্পাদকের পদ কে পাচ্ছেন তা নিয়ে।
al_council.jpg
২০ ডিসেম্বর ২০১৯, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি:

আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেজেছিলো পতাকা, ব্যানার এবং ফেস্টুন নেতাদের ছবিতে। কাউন্সিলের প্রথম দিনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী। তবে সবার আগ্রহ ছিলো দলটির সাধারণ সম্পাদকের পদ কে পাচ্ছেন তা নিয়ে।

আজ (২১ ডিসেম্বর) সম্মেলনের চূড়ান্ত দিন। তাই আজও সবার নজর এখন সাধারণ সম্পাদক পদটির দিকে। এদিন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অধিবেশনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হবে।

দলটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা জানান, ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনি হয়তো পুনরায় নির্বাচিত হতে পারেন অথবা তার জায়গায় নতুন কাউকে নির্বাচন করা হতে পারে।

তারা আরও বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে দলটির নেতৃত্বে থাকা শেখ হাসিনা যে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগ বেশকিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়েছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে দলটি। তাই দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই পদের জন্য দুর্নীতির অভিযোগমুক্ত এবং সংগঠনকে দক্ষভাবে চালাতে পারবেন, এমন কাউকেই নির্বাচন করা হবে।

এর আগে, গতকাল বেলা তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দুই দিনের কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শেষ দিনে আগামী তিন বছরের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ সময় সেখানে সারাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কাউন্সিলর উপস্থিত থাকবেন।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কারণ জনপ্রতিনিধি আদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি রাখতে হবে।

সূত্রটি আরও জানায়, সরকারের বিভিন্ন পদে থাকা নেতাদের এবার দলীয় পদ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে ওবায়দুল কাদেরের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

কেউ কেউ বলেন, ওবায়দুল কাদেরের উচিত মন্ত্রীর পদ ছেড়ে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা। একসঙ্গে দুইটি পদ ধরে রাখলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।

প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত আছেন।

গাজীপুর আওয়ামী লীগের এক নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “কাদের ভাই অবশ্যই যোগ্য লোক। কিন্তু, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ২০২৩ সালে। সুতরাং এই পদের জন্য আমাদের এমন একজন নেতা দরকার, যিনি সব ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন।”

অন্য আরেক নেতা বলেন, আমাদের ওবায়দুল কাদেরের মতো একজন যোগ্য এবং পরীক্ষিত নেতা প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, কাদের গত বৃহস্পতিবার গণভবনে গেলেও শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। ফলে দলের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়, তিনি হয়তো সাধারণ সম্পাদক পদে আর থাকছেন না।

আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জানান, সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন- কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, গাজীপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমতউল্লাহসহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা।

২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই কাউন্সিলে দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছিলো।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago