ভারতে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুমিছিল

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। চলছে জ্বালাও-পোড়াও। বাস-ট্রেন-বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। কারফিউ, পুলিশের বাধা-গ্রেপ্তার, ইন্টারনেট ও স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েও আন্দোলন দমাতে পারছে না বিজেপি সরকার।
police firing india final.jpg
২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ভারতের উত্তরপ্রদেশের মেরুঠে বিক্ষোভকারীদের দিকে অস্ত্র তাক করে আছে পুলিশ। ছবি: এএফপি

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। চলছে জ্বালাও-পোড়াও। বাস-ট্রেন-বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। কারফিউ, পুলিশের বাধা-গ্রেপ্তার, ইন্টারনেট ও স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েও আন্দোলন দমাতে পারছে না বিজেপি সরকার।

আন্দোলন যেনো আরও বেগবান হচ্ছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) দশম দিনের মতো রাস্তায় পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন দেশটির ছাত্র-জনতা। এদিকে দীর্ঘ হচ্ছে আন্দোলনকারীদের মৃত্যুমিছিল।

গতকাল কেবল উত্তরপ্রদেশেই সংঘর্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে এখন পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজি) ওপি সিং দাবি করেছেন, সেখানে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যাননি।

দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, “পুলিশ আজ (গতকাল) একটি গুলিও চালায়নি। নিহতদের কেউ পুলিশের গুলিতে মারা যাননি।”

অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “গুলি চললে বিক্ষোভকারীরাই চালিয়েছেন।”

পুলিশ তথ্যমতে, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে দুজন, সম্বল, ফিরোজাবাদ, মেরুঠ ও কানপুরে একজন করে মারা গেছেন। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ৫০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।

গত ১৯ ডিসেম্বর কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে দুজন ও লখনউতে একজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। এর আগে, আসামে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন।

গতকাল দিল্লির দরিয়াগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও, দলিতদের সংগঠন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকেও ভোররাতের দিকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে অন্তত আটজন শিশু ছিলো। পরে অভিভাবকদের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এদের শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,  শিশুদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া এক শিশুকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

Comments