আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি এলো ফ্লেচারের ব্যাট থেকে
তিন নম্বরে নেমে যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন জনসন চার্লস তাতে মনে হয়েছিল, এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটা বুঝি তিনিই করবেন। তবে শহিদুল ইসলামের বলে নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়ে যান তিনি। তবে চার্লস না পারলেও পেরেছেন তার স্বদেশী আন্দ্রে ফ্লেচার। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। দুই উইন্ডিজের ব্যাটে চড়ে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহও পেয়েছে সিলেট থান্ডার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ আমিরের করা বল থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ফ্লেচার। সেঞ্চুরি করতে ৫৩টি বল খেলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। ১১টি চার ও ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। চার্লসের সঙ্গে গড়েছেন ৭০ বলে ১৫০ রানের দারুণ এক জুটি যা বিপিএলের ইতিহাসে সপ্তম সর্বোচ্চ জুটি।
চার্লস যখন মাঠে নামেন, তখন ৯ রানে ব্যাট করছিলেন ফ্লেচার। পরে তাকে ছাড়িয়ে বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পারেননি। আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৯০ রানে। মাত্র ৩৮ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। তখন ৬৫ রানে ব্যাট করছিলেন ফ্লেচার। এরপর দলকে বিশাল সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্বটা পড়ে তার কাঁধেই। দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরি তো তুলে নেনই, দলকে এনে দিয়েছেন ২৩২ রানের বিশাল সংগ্রহ। আর তাতেই প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখছে আগের চার ম্যাচে হারা সিলেট।
এ নিয়ে বিপিএলে সেঞ্চুরি হলো মোট ১৯টি। গত আসরেই হয়েছিল ছয়টি। যার চারটিই হয়েছিল আবার চট্টগ্রামের মাঠে। এবার চট্টগ্রামের মাঠে ভুরিভুরি রান উঠলেও সেঞ্চুরির দেখা মিলছিল না। এই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৯৬ রান করেছিলেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে চতুর্থ দিনে এসে ফ্লেচারের কল্যাণে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে বিপিএল।
Comments