আন্দোলনে ভারতে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে
ভারতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন দমন করতে পুলিশের সব ধরনের চেষ্টার মধ্যে ক্রমশ যেন প্রবল হচ্ছে আন্দোলন। শনিবার নতুন করে উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে বিক্ষোভ হয়েছে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন করে এদিন বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকে বিহারে পালিত হয়েছে হরতাল।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয় হাসপাতালের বরাতে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া নিহতের সংখ্যা ১১ বলে জানিয়েছে।
আসামে নিহতদের মিলিয়ে এই সংখ্যা ২০ এর আশপাশে বলে জানাচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।
ভারতের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, শুক্রবারের মতো শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে। আন্দোলনকারীদের ওপর চলেছে পুলিশের গুলি-লাঠি-টিয়ার গ্যাস। যোগী আদিত্যনাথের এই রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে আজ নিহত হয়েছে আরও এক জন। সেখানে রামপুরে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই ওই অঞ্চলের মোবাইল ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে আজ। গত রোববার এই বিশ্ববিদ্যালয়েই বিক্ষোভকারীদের ওপর সবচেয়ে বেশি বলপ্রয়োগ করতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। সেদিন গুলি লাগে দুই ছাত্রের গায়ে। এর পরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দেশটির ছাত্রসমাজ। সেই থেকেই বিক্ষোভ চলছে জামিয়া মিলিয়ায়, যা সপ্তম দিনে গড়াল।
এনডিটিভি জানায়, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের ১২টি জেলায় শুক্রবার দুপুরে রাজ্যব্যাপী জারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে আসে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশের মীরাট, মুজাফফনগর, বাহরাইচ, বুলন্দশহর, গোরক্ষপুর, ফিরোজাবাদ, আলিগড়, ফারাক্কাবাদে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষের কথা জানা গেছে।
শনিবার, নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় বিহার হরতালের ডাক দিয়েছিল আরজেডি ও বাম দলগুলি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, হরতালে পাটনাসহ সবগুলো শহরে দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে।
Comments