এখনই তরুণদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নারাজ নান্নু
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এবার বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় নজর কেড়েছেন। যার মূল অংশটাই পেস বোলার। চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে বোলিং করেও ম্যাচের মূল নায়ক হচ্ছেন এ তরুণরাই। যেখানে অভিজ্ঞ অনেক বোলাররাই হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ কেউ তো দেদারসে রান বিলাচ্ছেন। এ সকল কারণে এ তরুণদেরকে এখনই জাতীয় দলের তাঁবুতে দেখছেন অনেকে। সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও। তবে শুধু টি-টোয়েন্টিতে নয়, ঘরোয়া লিগে সব সংস্করণে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করার পরই তাদের জাতীয় দলে নিতে চান তিনি।
চট্টগ্রাম পর্বে ফ্ল্যাট উইকেটে এবার প্রচুর রান উঠছে। দুইশর বেশি স্কোর যেন ডালভাত হয়ে গেছে। বোলারদের জন্য তাই কাজটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। সেখানে দারুণ বোলিং করছেন মেহেদী হাসান রানা, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও হাসান মাহমুদদের মতো তরুণরা। নিয়মিত ব্রেক থ্রু এনে দিচ্ছেন, সেই সঙ্গে রানের গতিতে লাগাম পড়াচ্ছেন তারা। এমন বোলিংয়ে তাই সাবেক-বর্তমান সব খেলোয়াড়রাই মুগ্ধ। তবে এক দুই ম্যাচ নয়, ধারাবাহিকভাবে ভালো করার পর সঠিক পরিচর্যা করে জাতীয় দলে আনার পক্ষে তারা।
প্রধান নির্বাচকও বললেন সেই কথা, 'সংক্ষিপ্ত সংস্করণের পারফরম্যান্স দেখে খেলোয়াড় বাছাই করা খুব কঠিন। লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে যেমন একটা খেলোয়াড়ের সব ক্ষেত্রটা দেখা যায়। বোলিং। ব্যাটিং, ফিল্ডিং সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খুব কমই দেখা যায়। কারণ সুযোগ অনেক কম থাকে। পারফরম্যান্স তো অবশ্যই বিবেচনার বিষয়। যারা পারফর্ম করছে, তরুণ তারকা যারা পারফর্ম করছে, অবশ্যই তারা নজরের মধ্যে আছে। তো দেখা যাক অর্ধেক টুর্নামেন্ট হলে বলতে পারব, দেখা যাক পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা কতটুকু।'
তরুণদের তাই এখনই লক্ষ্য স্থির করে আগাতে বললেন নান্নু, 'যে কোনা তরুণের কাজ হচ্ছে এমন চিন্তা-ভাবনা করা যেন পরবর্তী ১৫ বছর ভালো মানের ক্রিকেট খেলতে পারে। একদিনে একটা, দুটো ম্যাচ দেখে কাউকে বিবেচনা করা যায় না। ১৫ বছরের একটা লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিকের জন্য কমপক্ষে ১০ বছরের একটা লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। এ ধরনের লক্ষ্য তৈরি করতে না পারলে একজন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স কখনোই একটা মানসম্পন্ন থাকে না। সুতরাং একটা-দুইটা ম্যাচ একটা দুর্দান্ত বল দেখে কখনো বিবেচনা করা যায় না। তিন ফরম্যাটের জন্য তৈরি হবে হবে। তিন জায়গায় ভালো খেলার পর বলা যাবে এই খেলোয়াড় কতদূর যাবে।'
এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গন ও ঘরোয়া ক্রিকেটের পার্থক্যটাও তুলে ধরলেন প্রধান নির্বাচক, 'দুই একটা খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স যথেষ্ট নজর কেড়েছে। এদের ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল কিন্তু ঘরোয়ার সঙ্গে আকাশ পাতাল তফাত। এই মঞ্চটা কিন্তু আলাদা। ঘরোয়া ক্লাব পারফরম্যান্স করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করা অনেক অনেক তফাত। সুতরাং এখানে কিন্তু অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়। একটা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং অন্য দেশের সঙ্গে খেলা... দেখবেন যে ঘরোয়ায় একটা খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স অনেক ওপরে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে গেলে ওই খেলোয়াড় পারছে না। অনেক কিছু বিবেচনা করে দল গঠন করতে হয়।'
Comments