নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শঙ্কাকে ‘গুজব’ বললেন মোদি

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে যেসব শঙ্কার কথা বলা হচ্ছে তাকে “গুজব” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
Narendra Modi
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রয়টার্স ফাইল ফটো

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে যেসব শঙ্কার কথা বলা হচ্ছে তাকে “গুজব” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দিল্লির রামলীলা ময়দানে মোদি বলেন, “কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীরা, কিছু আরবান নকশাল, গুজব ছড়াচ্ছে যে, সমস্ত মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। অন্তত আপনাদের শিক্ষার মূল্যায়ন করুন...একবার অন্তত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির নিয়ম পড়ুন।”

বিজেপি সরকারের হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার বিরোধিতাকারী ভারতের বুদ্ধিজীবীদের “আরবান নকশাল” বলে অভিহিত করে থাকেন নরেন্দ্র মোদি। গত বছরের আগস্টে বিজেপি বিরোধী পাঁচ জন প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীকে গ্রেপ্তারের পর তাদেরও আরবান কনশাল বলা হয়েছিল।

ভারতের যুব সমাজের প্রতি, “গুজবে কান না দেওয়ার” আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যেভাবে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক। কিছু মানুষ এও বলছে যে, নাগরিকত্ব আইন দেশের গরীব মানুষের বিরুদ্ধে।”

তিনি বলেন, বহু বছর ধরে যে সমস্ত মানুষ ভারতে বাস করছেন তারা নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন এবং কোনও নতুন শরণার্থীকে সুবিধা দেওয়া হবে না।

১১ ডিসেম্বর সংশোধিত আইনটি রাজ্যসভায় পাস হয়, তারপর থেকেই ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে। এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে এই সুবিধা পেতে হলে শরণার্থীদের মুসলিম হওয়া চলবে না। ভারতের বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে বাদ পড়া হিন্দুরা এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব দাবি করতে পারবে। কিন্তু যেসব মুসলিম পুরনো কাগজপত্রের অভাবে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবে না শুধুমাত্র তারাই কোণঠাসা হবে। আর আসামসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই আইনের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশি হিন্দুরা তাদের এসব রাজ্যে গিয়ে ভিড় জমাবেন। যার ফলে তাদের সংস্কৃতি ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।

আইনটিকে মুসলিমদের প্রতি “বৈষম্যমূলক” আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত সরকারকে আইন সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, এই আইনের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যই হলো বৈষম্য।

ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত আসার আশঙ্কার কথা জানিয়ে এই আইনের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অনুরূপ উদ্বেগের কথা বলেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদও। সূত্র: এনডিটিভি

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now