অথচ মেহেদী ছিলেন 'ভ্যালুলেস' উইকেট

পারলে পারবেন, না পারলেও ক্ষতি ছিল না। সোমবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ব্যাটিং নামার আগে এমনটা ভেবেই শেখ মেহেদী হাসানকে মাঠে পাঠিয়েছিলেন দলের কোচ-অধিনায়করা। মেহেদীর ভাষায় তিনি ছিলেন 'ভ্যালুলেস' উইকেট। আর শেষ পর্যন্ত তাদের বাজিই কাজে লেগেছে। ম্যাচ জয়ের নায়ক এ মেহেদীই। তিন নম্বরে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন এ তরুণ।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পারলে পারবেন, না পারলেও ক্ষতি ছিল না। সোমবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ব্যাটিং নামার আগে এমনটা ভেবেই শেখ মেহেদী হাসানকে মাঠে পাঠিয়েছিলেন দলের কোচ-অধিনায়করা। মেহেদীর ভাষায় তিনি ছিলেন 'ভ্যালুলেস' উইকেট। আর শেষ পর্যন্ত তাদের বাজিই কাজে লেগেছে। ম্যাচ জয়ের নায়ক এ মেহেদীই। তিন নম্বরে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন এ তরুণ।

ওপেনার এনামুল হক বিজয় ফিরলেন খালি হাতে। এরপর মাঠে নামলেন শেখ মেহেদী হাসান, যিনি কিনা বিপিএলে বরাবরই ব্যাটিং অর্ডারের শেষ দিকে নেমে থাকেন। এদিন তিন নম্বরে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগালেন ষোলোআনাই। ২৯ বলে খেলেন ৫৯ রানের বিধ্বংসী এ ইনিংস। ২টি চার ও ৭টি ছক্কা নিজের ইনিংস সাজান এ তরুণ।

ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে তিন নম্বরে ব্যাটিং করার কারণ জানালেন মেহেদী। মূলত হালের অন্যতম সেরা অফস্পিনার মুজিব উর রহমানের বল ঠেকানোই ছিল তার কাজ। ভাগ্য ভালো থাকায় পেয়ে যান রবিউল ইসলামকেও। মেহেদীর ভাষায়, 'ওদের তখন মুজিব ছিল। মুজিবকে খেলা একটু মুশকিল। আমি ভ্যালুলেস উইকেট (হাসি)। মানে আমাকে ধরে নাই আরকি। মুজিবকে সামলাতে আমাকে পাঠাইছে। আমি অফস্পিনার পেয়ে গেছি, সুযোগ নিয়েছি সাফল্য পেয়ে গেছি।'

মুজিবকে সামলাতে নেমে শুধু সামলাননি রীতিমতো তোপ দাগিয়েছেন। কেন এমন ব্যাটিং করলেন তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এ তরুণ, 'অফস্পিনার দেখে সুযোগ নিতে গেছি। যদি এখান থেকে সাফল্য পাই তাহলে আমার জন্য ভালো। আমি সেটাই করছিলাম। দেখেন, আমি কিন্তু একটা বলও আরামে খেলিনি। এদিক-ওদিক করে খেলেছি যাতে ভালো জায়গায় বল করতে না পারে। আমি আমার শক্তির জায়গায় বল পেয়ে গেছি এবং আমি সাফল্য পেয়েছি।'

Comments