সুযোগ না দিলে আমরা শিখব কীভাবে, প্রশ্ন মেহেদীর

ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার শেখ মেহেদী হাসান। অলরাউন্ডার হলেও ব্যাটিংটাই তার মূল কাজ। নিয়মিত ব্যাট করেন টপ অর্ডারে। কিন্তু বিপিএল এলেই বদলে যায় তার ভূমিকা। বনে যান শুধুই একজন বোলার। শেষ দিকে নয়-দশ নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ মিলে তার। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগই পান না। শুধু তিনি নন, স্থানীয় অনেক খেলোয়াড়দেরই একই অবস্থা। তাই কিছুটা আক্ষেপ করে জানালেন, সুযোগ না পেলে শিখবেন কি করে?
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার শেখ মেহেদী হাসান। অলরাউন্ডার হলেও ব্যাটিংটাই তার মূল কাজ। নিয়মিত ব্যাট করেন টপ অর্ডারে। কিন্তু বিপিএল এলেই বদলে যায় তার ভূমিকা। বনে যান শুধুই একজন বোলার। শেষ দিকে নয়-দশ নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ মিলে তার। নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগই পান না। শুধু তিনি নন, স্থানীয় অনেক খেলোয়াড়দেরই একই অবস্থা। তাই কিছুটা আক্ষেপ করে জানালেন, সুযোগ না পেলে শিখবেন কি করে?

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন ব্যাটে বলে অনন্য ছিলেন মেহেদী। প্রথমে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য রেখেছেন সাধ্যের মধ্যে। পরে তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে খেললেন ঝড়ো এক ইনিংস। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বোলারদের উপর তোপ দাগিয়ে খেলেছেন ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মাত্র ২৯ বলে সে ইনিংস ছিল ২টি চার ও ৭টি ছক্কা। রবিউল ইসলাম রবির করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে টানা চার ছক্কায় নিয়েছেন ২৮ রান।

অথচ বিপিএলে বরাবরই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টপ অর্ডারে আস্থা রেখে থাকেন বিদেশিদের উপর। জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছাড়া দেশি ব্যাটসম্যানরা সে অর্থে সুযোগই পান না। তাই আক্ষেপই ঝরে মেহেদীর কণ্ঠে, 'আসলে দেশি খেলোয়াড়েরা এ টুর্নামেন্টে তেমন সুযোগ পায় না। সব ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল থাকে যে ওরা সব কিছুই করতে পারবে। দেশিদের যদি ওইভাবে সুযোগ না দেন তাহলে আমরা শিখব কীভাবে? আমাদের শেখার একটা অপশন তো থাকতে হবে এমন বড় ইভেন্টে। তারা সবসময় বিদেশিদের বিশ্বাস করে বেশি।'

অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এমন কাণ্ডের কারণটা নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন মেহেদী। বিদেশিদের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্যটা জানিয়ে বললেন, 'আমরা একটু পিছিয়ে আছি শারীরিক শক্তির দিক থেকে। বিদেশি সবাইকে দেখেন ওরা অনেক শক্তিশালী। আমরা যেটা চার মারি, ওরা সেটা ছয় মারে। পার্থক্যটা এখানেই। এই জন্যই ওরা এগিয়ে যাচ্ছে।'

তবে নিজেদেরও খুব বেশি পিছিয়ে রাখছেন না এ তরুণ। সে সুযোগ পান তাই কাজে লাগিয়ে নিজের উন্নতি করার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, 'সবমিলিয়ে বলব যে, দেশি খেলোয়াড়রা এতোটা খারাপও করছে না। তারা সুযোগ যেটা পাচ্ছে মোটামুটি ভালোই করছে। এই জায়গায় বোলারদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। তো ব্যাটসম্যানদের খুব ভালো ছিল দ্বিতীয় (চট্টগ্রাম) পর্বটা। দেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক কিছু শিখারও আছে। এইরকম উইকেট পাওয়া মুশকিল। এখানে বেশি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। এখান থেকে শিখতে পারলে আমাদের জন্য কাজে দিবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago